আমার দেশ ‘বিজ্ঞান ও কম্পিউটার’ পাতায় নিয়মিত ছাপা হচ্ছে—অনলাইন আয়ের ১০০টি ট
আপনি যা পারেন এমন কাজেই বিড করুন
কোনো কাজ যদি ফুলটাইম না করে চুক্তিভিত্তিকভাবে সম্পন্ন করা হয়, কাজ অনুযায়ী পেমেন্ট দেয়া হয়, তাহলে তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। অনেক কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠানের কাজের কোনো একটা অংশ করার জন্য বাইরে থেকে ফ্রিল্যান্সার ভাড়া করে। সেক্ষেত্রে সেই কোম্পানির স্টাফদের মাসিক বেতনের যে বাজেট তা বাড়াতে হয় না, বা কাউকে বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিতে হয় না। এজন্য অনেক কোম্পানি ফ্রিল্যান্সার খুঁজে থাকে। অন্য দেশের কোম্পানিগুলো এক্ষেত্রে অনুন্নত দেশগুলোকে পছন্দ করে থাকে। কারণ সেসব দেশের শ্রমের মূল্য অনেক কম।
ফ্রিল্যান্সিং ইন্টারনেট থেকে টাকা আয়ের একটি সুন্দর পথ বাংলাদেশীদের জন্য। মনে করুন, একটি ৫০০ ডলারের কাজ বাংলাদেশীরা ৪০০ থেকে ৪৫০ ডলারে সহজেই করতে পারবে। আমাদের দেশের সাধারণ একটি পরিবার ৩০০ ডলারে এক মাস স্বচ্ছন্দে চলতে পারে। তাই বিড করে কাজ পাওয়া কঠিন কিছু নয়। তবে কাজ ধরলে শুধু হবে না, কাজটি নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে হবে, নইলে ক্লায়েন্টের কাছে নিজের ও দেশের মান ক্ষুণ্ন হবে এবং আপনার কাজের রেকর্ড খারাপ হবে। তাই আপনি করতে পারবেন এমন কাজ ধরার চেষ্টা করবেন।
ফ্রিল্যান্সিং হলো ইন্টারনেটে স্বাধীনভাবে কাজ করার একটি পেশা। এখানে অফিস, গ্রাফিক্স, ওয়েব ডিজাইন, এসইও, আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি বিষয়ের কাজ পাওয়া যায়। ভয় নেই, আপনি সাধারণভাবে এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল জানলেও ডাটা এন্ট্রির কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন। এই সাইটগুলোতে প্রতিদিন হাজার হাজার কাজ জমা হয়। তবু আপনাকে প্রথম দিকে কাজ পেতে কিছুটা বেগ পেতে হবে। চেষ্টা করলে একসময় ফল পাবেন। অনেকে এক সপ্তাহ চেষ্টা করে কাজ না পেয়ে আশা ছেড়ে দেন। এমন করলে সামনে এগুতে পারবেন না।
কাজের বিডের ক্ষেত্রে অনেক বেশি কৌশলী হতে হবে। বিডের ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে কম বিড করলেই যে কাজ পেয়ে যাবেন, এই ধারণা ভুল। তখন বায়ার আপনার ব্যাপারে ভুল ধারণা পেয়ে থাকতে পারে। বিডের ক্ষেত্রে আগে কাজটা ভালোভাবে বুঝতে হবে। অন্যদের বিডগুলো ভালোভাবে দেখতে হবে। ভালো বায়ারের সঙ্গে যোগাযোগের সময় বায়ারকে যেকোনোভাবে হোক অনুপ্রাণিত করতে হবে। সেজন্য আপনি বিড করার পাশাপাশি প্রাইভেট মেইলে আপনার অভিজ্ঞতার বর্ণনাসহ আবেদন করতে পারেন। যেহেতু বায়ার বাইরের দেশের। সুতরাং তার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ইংরেজিতে কথা বলা, লিখতে পারা, বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে বিভিন্ন সাইট সম্পর্কে কোনো তথ্য জানতে বা সমস্যা বোধ করলে অথবা আপনার মনে কোনো প্রশ্ন জাগলে সেই ওয়েবসাইটের ভধয় দেখতে পারেন। সেখানে সাধারণত অনেক সাধারণ প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন। তারপরও যারা অনলাইন থেকে নিজে নিজে শিখতে অভ্যস্ত নন, তারা কোনো ভালো ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। না শিখে কাজ শুরু করলে ভালো ফলাফল আশা করতে পারবেন না।
No comments:
Post a Comment