আমার দেশ ‘বিজ্ঞান ও কম্পিউটার’ পাতায় নিয়মিতভাবে ছাপা হচ্ছে—অনলাইন আয়ের ১০০টি টিপস শীর্ষক টিউটোরিয়াল পর্ব। এসব বিষয়ে নিয়মিত লিখছেন—আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে সফল ফ্রিল্যান্সার, বিভিন্ন কর্মশালা-প্রশিক্ষণ পরিচালনাকারী ও ব্লগার—মো. ইকরাম
আগ্রহী যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান, চোখ রাখুন প্রতি মঙ্গলবার।
(পর্ব ৪)
অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে আয়
অনলাইনে আয়ের মাধ্যমগুলোর মধ্যে এক অনন্য ও বিশ্বস্ত নাম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েশন। অনলাইন থেকে আয়ের বিভিন্ন ট্রেডের মধ্যে অন্যতমই বলব এটাকে। এখান থেকে আয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা যে কোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে সাধারণত বিভিন্ন ডিলার/পাইকারি ব্যবসায়ীকে দেখেছি যারা কোনো নির্দিষ্ট নামকরা কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস কমিশনের (% আকারে) ভিত্তিতে বিক্রি করে দেন। এইসব ব্যবসার ক্ষেত্রে বিক্রি করে দেয়ার শর্তে ডিলার/পাইকাররা কোম্পানি থেকে নির্দিষ্ট মাত্রায় (% হারে) কমিশন নিয়ে থাকে। যেমন ধরুন, স্যামসাং কোম্পানি তাদের মনিটর বিক্রি করবে। সেটা তারা নিজেরা সরাসরি বিক্রি করে না, বিভিন্ন পাইকারের মাধ্যমে বিক্রি করে। পাইকাররা এই মনিটর বিক্রি করে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে থাকেন। যে কোনো ব্যবসা এভাবেই ঘটে থাকে। ই-কমাসের্র এই যুগে সেটাই হয়ে থাকে অনলাইনে। আর ব্যবসার এই অনলাইন রূপটাকেই Affiliate বলে।
অ্যাফিলিয়েশন হচ্ছে এমনই একটি প্রোগ্রাম, যার মাধ্যমে কোনো ওয়েবসাইট যারা নিজের ওয়েবসাইটে কোনো কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস অ্যাডস হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে ওই কোম্পানিকে বিভিন্ন প্রোডাক্টস অনলাইনে বিক্রি করে দেয়ার শর্তে কমিশন ভিত্তিতে কাজ করে থাকে। এই সাইট থেকে রেফারেল হয়ে যদি কোম্পানির প্রোডাক্টস কেউ কেনে তবে কোম্পানি তাদের দেয়া শর্ত অনুযায়ী তাকে কমিশন দিতে বাধ্য থাকে। আর এটাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েশন। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস নিয়ে অ্যাফিলিয়েশন করতে দেখা যায়। যেমন : বিভিন্ন খেলার লাইভ ওয়াচ, মুভি লাইভ ওয়াচ, কলিং কার্ড, আরও বিভিন্ন নিত্যদিনের প্রোডাক্টস। এটাকে আমরা এমন প্রোগ্রাম বলতে পারি, যা দিয়ে পরোক্ষ মাধ্যমে ইন্টারনেটে বাজার পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন ইন্টারনেট মার্কেটিংকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে উন্মুক্ত করে দিয়েছে অনলাইনে আয়ের বিশাল এক সম্ভাবনাকে।
ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য
বিশ্বে ১৯৯০ সালের দিকে সর্বপ্রথম ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন প্রোগ্রাম চালু হয়। এখানে অ্যাফিলিয়েশন প্রোগ্রামগুলোতে কোনো একটি কোম্পানি তার পণ্যের বিজ্ঞাপন লিংক বা ব্যানার আকারে অন্য একটি ওয়েবসাইটে অ্যাড হিসেবে দিয়ে থাকে। এই ব্যানার অ্যাডের মাধ্যমে ওই কোম্পানির পণ্যের যে পরিমাণ বিক্রি হয়, তার ভিত্তিতে কোম্পানি ওই ওয়েবসাইটকে তাদের নির্দিষ্ট হারে কমিশন দিয়ে থাকে। কিন্তু এই কমিশন অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশেরও বেশি হয়, যা আসলে খুবই ভালো একটা আয় হয়ে দাঁড়ায়। এটির মাধ্যমে অনেকে প্রতি মাসে এক লাখ টাকা থেকে আমার দেখা সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকাও আয় করছেন। প্রযুক্তি ও মার্কেট নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ফরেস্টার রিসার্চের মতে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর অনলাইন মার্কেটিং পদ্ধতি। তবে এটাও মানতে হবে যে, এখানে হিউজ আয়ের একটা সম্ভাবনা রয়েছে। অ্যাফিলিয়েশন বর্তমান সময়ে অনলাইন আয়ে বড় একটা পথ উন্মোচন করছে।
এখানে কিছু অ্যাফিলিয়েট সাইট আছে, যেখান থেকে আপনি তাদের অ্যাফিলিয়েট মেম্বার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। আসুন দেখে নিই সাইটগুলো—
www.amazan.com, www.marketbay.com
www.clickbank.com, www.linkshare.com
www.plimus.com, www.sellhealth.com
আপনাকে এই পদ্ধতিতে আয় করতে হলে SEO, internet marketing ভালোভাবে জানতে হবে। আপনি যেই প্রোডাক্টসের অ্যঅফিলিয়েশন করছেন, কেউ যদি সেই প্রোডাক্টস গুগলে সার্চ দেয় এবং তখন যদি আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ফলাফলে আগে দেখা যায়, তাহলে আপনার কাছ থেকে সেই প্রোডাক্টস বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। আর পণ্য বিক্রি হলে কমিশন পাবেন। সুতরাং বেশি বেশি পণ্য বিক্রি করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটকে ঝঊঙ-এর মাধ্যমে গুগলের সার্চ ফলাফলের ওপরের দিকে আনতে হবে।
আগ্রহী যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান, চোখ রাখুন প্রতি মঙ্গলবার।
(পর্ব ৪)
অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে আয়
অনলাইনে আয়ের মাধ্যমগুলোর মধ্যে এক অনন্য ও বিশ্বস্ত নাম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েশন। অনলাইন থেকে আয়ের বিভিন্ন ট্রেডের মধ্যে অন্যতমই বলব এটাকে। এখান থেকে আয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা যে কোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে সাধারণত বিভিন্ন ডিলার/পাইকারি ব্যবসায়ীকে দেখেছি যারা কোনো নির্দিষ্ট নামকরা কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস কমিশনের (% আকারে) ভিত্তিতে বিক্রি করে দেন। এইসব ব্যবসার ক্ষেত্রে বিক্রি করে দেয়ার শর্তে ডিলার/পাইকাররা কোম্পানি থেকে নির্দিষ্ট মাত্রায় (% হারে) কমিশন নিয়ে থাকে। যেমন ধরুন, স্যামসাং কোম্পানি তাদের মনিটর বিক্রি করবে। সেটা তারা নিজেরা সরাসরি বিক্রি করে না, বিভিন্ন পাইকারের মাধ্যমে বিক্রি করে। পাইকাররা এই মনিটর বিক্রি করে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে থাকেন। যে কোনো ব্যবসা এভাবেই ঘটে থাকে। ই-কমাসের্র এই যুগে সেটাই হয়ে থাকে অনলাইনে। আর ব্যবসার এই অনলাইন রূপটাকেই Affiliate বলে।
অ্যাফিলিয়েশন হচ্ছে এমনই একটি প্রোগ্রাম, যার মাধ্যমে কোনো ওয়েবসাইট যারা নিজের ওয়েবসাইটে কোনো কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস অ্যাডস হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে ওই কোম্পানিকে বিভিন্ন প্রোডাক্টস অনলাইনে বিক্রি করে দেয়ার শর্তে কমিশন ভিত্তিতে কাজ করে থাকে। এই সাইট থেকে রেফারেল হয়ে যদি কোম্পানির প্রোডাক্টস কেউ কেনে তবে কোম্পানি তাদের দেয়া শর্ত অনুযায়ী তাকে কমিশন দিতে বাধ্য থাকে। আর এটাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েশন। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস নিয়ে অ্যাফিলিয়েশন করতে দেখা যায়। যেমন : বিভিন্ন খেলার লাইভ ওয়াচ, মুভি লাইভ ওয়াচ, কলিং কার্ড, আরও বিভিন্ন নিত্যদিনের প্রোডাক্টস। এটাকে আমরা এমন প্রোগ্রাম বলতে পারি, যা দিয়ে পরোক্ষ মাধ্যমে ইন্টারনেটে বাজার পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন ইন্টারনেট মার্কেটিংকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে উন্মুক্ত করে দিয়েছে অনলাইনে আয়ের বিশাল এক সম্ভাবনাকে।
ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য
বিশ্বে ১৯৯০ সালের দিকে সর্বপ্রথম ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন প্রোগ্রাম চালু হয়। এখানে অ্যাফিলিয়েশন প্রোগ্রামগুলোতে কোনো একটি কোম্পানি তার পণ্যের বিজ্ঞাপন লিংক বা ব্যানার আকারে অন্য একটি ওয়েবসাইটে অ্যাড হিসেবে দিয়ে থাকে। এই ব্যানার অ্যাডের মাধ্যমে ওই কোম্পানির পণ্যের যে পরিমাণ বিক্রি হয়, তার ভিত্তিতে কোম্পানি ওই ওয়েবসাইটকে তাদের নির্দিষ্ট হারে কমিশন দিয়ে থাকে। কিন্তু এই কমিশন অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশেরও বেশি হয়, যা আসলে খুবই ভালো একটা আয় হয়ে দাঁড়ায়। এটির মাধ্যমে অনেকে প্রতি মাসে এক লাখ টাকা থেকে আমার দেখা সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকাও আয় করছেন। প্রযুক্তি ও মার্কেট নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ফরেস্টার রিসার্চের মতে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর অনলাইন মার্কেটিং পদ্ধতি। তবে এটাও মানতে হবে যে, এখানে হিউজ আয়ের একটা সম্ভাবনা রয়েছে। অ্যাফিলিয়েশন বর্তমান সময়ে অনলাইন আয়ে বড় একটা পথ উন্মোচন করছে।
এখানে কিছু অ্যাফিলিয়েট সাইট আছে, যেখান থেকে আপনি তাদের অ্যাফিলিয়েট মেম্বার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। আসুন দেখে নিই সাইটগুলো—
www.amazan.com, www.marketbay.com
www.clickbank.com, www.linkshare.com
www.plimus.com, www.sellhealth.com
আপনাকে এই পদ্ধতিতে আয় করতে হলে SEO, internet marketing ভালোভাবে জানতে হবে। আপনি যেই প্রোডাক্টসের অ্যঅফিলিয়েশন করছেন, কেউ যদি সেই প্রোডাক্টস গুগলে সার্চ দেয় এবং তখন যদি আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ফলাফলে আগে দেখা যায়, তাহলে আপনার কাছ থেকে সেই প্রোডাক্টস বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। আর পণ্য বিক্রি হলে কমিশন পাবেন। সুতরাং বেশি বেশি পণ্য বিক্রি করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটকে ঝঊঙ-এর মাধ্যমে গুগলের সার্চ ফলাফলের ওপরের দিকে আনতে হবে।
No comments:
Post a Comment