Tuesday, August 21, 2012

Necessary Websites 2012 (2)


Google Chrome:
http://forum.mt5.com/forumdisplay.php?21-General-Forex-Conversation/page2&order=desc
http://bloggerhelped.blogspot.com/
http://idrf-bd.com/
http://www.answersbd.com/
http://www.techtunes.com.bd/chain-tunes/seo-tutorial-a2z
http://www.quickincometips.com/
http://informislambd.blogspot.com/
http://www.eearnbd.com/2012/07/make-website-by-bloggercom-tips-1.html#.UARXpCXHE4o.facebook
http://bn.pritom.org/tag/%e0%a6%8f%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87%e0%a6%9f-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%82/
http://www.wordpressthemeshock.com/wordpress-resources/
http://www.dolancer.com/
http://learnodesk.com/free-trial/
http://www.wpbeginner.com/wp-tutorials/55-most-wanted-wordpress-tips-tricks-and-hacks/
http://www.websource.it/
http://www.simplyislam.com/emails/islamic-affiliate-programme.htm
http://google-adsense24.blogspot.com/
http://localseo.org/blog
http://www.grammarly.com/
http://www.namesofamuslim.com/2009/02/99-names-of-allah.html
http://www.teacherclick.com/
http://www.flashmo.com/
http://bdpips.com/school/
http://www.1stwebdesigner.com/design/20-free-keyword-research-tools-comprehensive-insight/
http://bdwebsources.blogspot.com/
http://names-ofallah.blogspot.com/
http://www.islamhouse.com/p/1237
http://www.webtechnopros.com/how-to-create-social-bookmark-back-link.php
http://www.adsmod.com/
https://www.facebook.com/zakariahabib72
http://hellboundbloggers.com/2010/08/25/page-rank-vs-serp/
http://techprithibi.com/kowshik-chanda/2460
http://skyhitblog.com/blogger-blog-optimization/
http://www.amardeshonline.com/pages/weeklies/2012/06/26/928
http://www.earntunes.com/125.php
http://www.soniahoque.com/
http://ideas-4-brighter-bangladesh.blogspot.com/
http://rrf.asifsaho.me/
http://techzonebd.com/
http://www.rm2334.com/tuto/
http://techno-bangla.blogspot.com/2012/08/facebook-blue-status.html?showComment=1344144876583#c381577101620577080
http://lenin9l.wordpress.com/2009/06/01/php-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%9C-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%A8/
http://www.tutobd.com/tutorials
http://www.blogsdb.com/blog/blog-commenting-sites-lists-for-seo-link-building/#comment-1860
http://www.histats.com/
http://www.codecademy.com/#!/exercises/0
https://www.mtholyoke.edu/acad/germ/neh/HTML.html
http://www.mrfaruque.com/
http://www.flashvortex.com/
http://www.bookbd.info/
http://www.rrfoundation.net/html/table/with-caption.html
http://www.postloop.com/pages/frequently_asked_questions
http://bd.purematrimony.com/
http://www.designingway.com/examples/seven/
http://realproblogger.blogspot.com/2012/02/adsense-alternatives-in-2012.html
psd2html.com

Necessary Website 2012 (1)


http://www.web-source.net/html_codes_chart.htm#input
http://www.youtube.com/user/rrfoundationbd
http://rrfoundation.info/
http://blog.smalltownkid.net/my-earning-proof/
http://tech.seudolab.com/post-no/524
http://www.enp.pranon.com/?cat=23
http://www.warriorforum.com/internet-marketing-product-reviews-ratings/533094-raven-tools-anyone-ever-used.html
http://www.bigganprojukti.com/post-id/16715
http://bangla.seo-blog-post.info/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A6%87%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B6/
http://www.seocoursebd.com/


--------------------
Mozilla Firefox
http://www.mozilla.com/en-US/firefox/help/
http://www.mozilla.com/en-US/firefox/customize/
http://www.mozilla.com/en-US/firefox/community/
http://www.mozilla.com/en-US/about/
http://www.bteb.gov.bd/
http://www.freesmscraze.com/worldwide/send_free_sms_to_bangladesh/index.html
http://www.microworkers.com/
http://www.talksms.com/en/account
http://www.iloveallaah.com/
http://www.quraneralo.com/
http://www.dainikazadi.org/index.php
http://www.dainikpurbokone.net/index.php?option=com_phocagallery&view=category&id=1
http://www.edainikazadi.net/eazadi.php?page=1&subpage=1&date=2012-02-03
http://midasamiebd.wordpress.com/
http://www.duet.ac.bd/
http://job365.weebly.com/dolancer-outsourcing-ltd.html
http://obhibd.blogspot.com/
https://mail.ovi.com/home
http://bn.jinnatulhasan.com/blog/
http://www.islamictv.com.bd/
http://dolance.blogspot.com/
http://www.filehippo.com/
http://www.hedaet.com/
http://www.pis-bd.org/
http://www.webcoachbd.com/
http://amarbanglaonline.com/index.php/bangla-type-online
http://omi.net.bd/4
http://www.independent-group.com/index.html
http://www.jumarkhutba.com/
http://sorolpath.com/
http://www.google.com/
http://takardunia.mywibe.com/index.amp?s=d62d9bcea6cdde847a3964dcf1811e74
http://www.icdbd.org/blog/
http://www.tizag.com/
http://www.google.co.in/
http://spellcheckplus.com/
https://bitly.com/
http://www.webs.com/
http://www.freeonlinemoneyearning.com/
http://www.priyoboi.com/
http://en.wikipedia.org/wiki/Main_Page
http://www.bigganprojukti.com/
http://www.islamhouse.com/s/9739
http://www.globalminberbangla.com/
http://www.freelancerstory.blogspot.com/
http://signup.wazzub.info/?lrRef=97f03
https://accounts.google.com/ServiceLogin?service=mail&passive=true&rm=false&continue=http://mail.google.com/mail/&scc=1&ltmpl=default&ltmplcache=2
http://www.techtunes.com.bd/internet/tune-id/6983
http://www.campusnews24bd.com/
http://www.comjagat.com/
http://www.microworkers.com/login.php
http://easysocialbookmarking.com/seopanel/
http://ahmad297.blogspot.com/
http://www.bdosn.org/
http://edunews4u.com/admission/
http://www.rapidfiledownload.com/
http://bdjob24x7.blogspot.com/2012/03/qubee.html
http://forum.projanmo.com/home/
http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=1&date=2012-03-30#

Friday, August 17, 2012

ফ্রিল্যান্সিং ধারাবাহিক : অনলাইনে আয়ের ১০০ উপায় (পর্ব-৮)

ফরেক্সের মাধ্যমে উপার্জন করুন
ফরেক্স অথবা স্পট ফরেক্স হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয়ফরেক্স মার্কেটে আপনি একটি দেশের কারেন্সি বিক্রি করে আরেকটি দেশের কারেন্সি ক্রয় করতে পারবেনউদাহরণস্বরূপ, ইউএসএ বা আমেরিকার কারেন্সি হছে ডলার, ব্রিটেন বা ইউকের কারেন্সি হচ্ছে পাউন্ডফরেক্স মার্কেটে আপনি ডলার বিক্রি করে পাউন্ড অথবা পাউন্ড বিক্রি করে ডলার কিনতে পারেনডলার অথবা পাউন্ড ছাড়াও আর বিভিন্ন দেশের কারেন্সি আছে, যা ফরেক্স মার্কেটে আপনি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন
বিভিন্ন দেশের মুদ্রা সর্বদাই পরিবর্তনশীলআপনি জানেন, কখনও কখনও ডলার টাকার বিপরীতে শক্তিশালী হয়, আবার কখনও টাকা ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়এরকম পৃথিবীর অধিকাংশ মুদ্রার বিপরীতেই হয়সুতরাং আপনার যদি ডলার কেনা থাকে, ডলারের বিপরীতে ইউরোর দাম পড়ে গেলে আপনি ডলার বিক্রি করে ইউরো কিনে রাখতে পারেনআবার ইউরো ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হলে, ইউরো বিক্রি করে অধিক ডলার পেতে পারেনহয়তো আপনার কাছে ১০০ ডলার ছিল, যা বিক্রি করে আপনি ৮০ ইউরো ক্রয় করেছিলেনপরে ইউরোর দাম বাড়ার পর তা বিক্রি করে ১২০ ডলার পেলেনএভাবে আপনি আয় করতে পারেনশেয়ার মার্কেটে শুধু শেয়ারের দাম বাড়ালেই (নুঁ) আমরা প্রফিট করতে পারিকিন্তু ফরেক্স মার্কেটে কোনো কারেন্সি শক্তিশালী অথবা দুর্বল হোক, দুই ক্ষেত্রেই আমাদের প্রফিট করার সুযোগ আছে, যেটা ফরেক্স মার্কেটের সবচেয়ে বড় সুবিধা

ফরেক্স ট্রেড করার সুবিধা
একসময় শুধু বিশাল ধনী অথবা ব্যাংকগুলো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার সুযোগ পেতকিন্তু বর্তমানে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ফরেক্স ব্রোকারের আবির্ভাব ও প্রতিযোগিতা বাড়ায় যে কেউই পৃথিবীর যে কোনো দেশ থেকে ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করতে পারে
মাত্র এক ডলার দিয়ে ফরেক্স ট্রেড শুরু করা সম্ভবতাছাড়া প্রায় সব ব্রোকারই আপনাকে ফ্রি ডেমো ট্রেড করার সুবিধা দেবে, অর্থাত্ ভার্চুয়াল মানি দিয়েতাই প্রথমে আপনি বিনা খরচে ডেমো ট্রেড করে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে পারেন এবং ডেমো ট্রেড করে সাফল্য ফেলে ডিপোজিট করে রিয়েল ট্রেড শুরু করতে পারেন
ফরেক্স মার্কেট পরিধি অনেক বড় এবং এই মার্কেটকে ম্যানিপুলেট করা সম্ভব নয়পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্টক মার্কেট হচ্ছে নিউইয়র্ক স্টক মার্কেট এবং ফরেক্স মার্কেটের আকার তার থেকেও ২৫ গুণ বেশিমনে রাখবেন, ডলার বা ইউরোর মূল্য কোনো দেশের সরকার নির্ধারণ করে দেয় নাবিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও আর্থিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মূল্য নিজে নিজেই পরিবর্তিত হয়আপনি যে দামে ডলার বা ইউরো কিনবেন, সেই একই দামে পৃথিবীর সব দেশে ডলার বা ইউরো ক্রয়-বিক্রয় হবে
ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের লিভারেজ বা লোন সুবিধা পাওয়া যায়, আর তাই খুব অল্প মার্কেট মুভমেন্ট থেকেই আপনি ভালো প্রফিট করতে পারবেন
স্ক্যালপিং ফরেক্সে খুব জনপ্রিয় একটি শব্দএর মানে হচ্ছে খুব অল্প সময়ের জন্য খোলা ট্রেডফরেক্স মার্কেটের খুব অল্প পরিবর্তনেও ভালো লাভ করা সম্ভবঅনেকেই ১০ বা ১৫ সেকেন্ডের জন্য একটি ট্রেড ওপেন করে এবং প্রফিট পেলে তা নিয়ে ট্রেড থেকে বের হয়ে যায়
ফরেক্স মার্কেট সোমবার থেকে শুক্রবারসপ্তাহের ৫ দিনই দিনরাত ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা থাকেআর তাই আপনি ব্যাবসায়ী হোন বা চাকরিজীবী হোন, ফরেক্স মার্কেটে আপনি সুবিধামত ট্রেড করতে পারবেন
ফরেক্স ট্রেডিং আপনি বাসায় বসেই করতে পারবেন, বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই 
ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার জন্য আপনাকে সবকিছু অনলাইনে করতে হবে আর অ্যাকাউন্ট ওপেনিং থেকে শুরু করে অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট বা উইথড্র করাও অনেক সহজ
উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয়, একজন দক্ষ ও সফল ট্রেডার হতে হলে আপনাকে ফরেক্স মার্কেট সম্পর্কে প্রচুর পড়াশোনা করতে হবেমনে রাখবেন, ফরেক্স মার্কেট স্টক মার্কেটের মতোই চ্যালেঞ্জিংনা জেনে হয়তো প্রাথমিকভাবে সফল হওয়া যাবে, যেটা স্টক মার্কেটও অনেকে অনেক সময় হয়তবে দীর্ঘসময়ের জন্য টিকে থাকতে হলে, এক্সপার্ট হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেইআরেকটি কথা, ফরেক্স মার্কেটে মন্দা বলে কিছু নেইকারণ স্টক মার্কেটে আপনি শুধু sell করতে পারেন, ফরেক্স মার্কেটে buy বা sell উভয়ই করতে পারবেন

ফ্রিল্যান্সিং ধারাবাহিক : অনলাইনে আয়ের ১০০ উপায় পর্ব (৭)

ছবি, ই-বুক অথবা ভিডিও হতে পারে মূলধন
গত পর্বে আলোচনা করেছিলাম বিড করে কাজ পাওয়ার ব্যাপারেআজ অন্য এক মজার কাজের কথা বলবআমরা অনেক সময় কথাপ্রসঙ্গে টাকার গাছের কথা বলিআজ অনলাইনে টাকার গাছের কথা বলবগাছ যে রকম একবার রোপণ করলে সারাজীবন ফল দেয়, সে রকম অনলাইনেও ইনকামের ব্যবস্থা আছেকষ্ট করবেন একবার, ফল পাবেন সারাজীবনআপনি যা জানেন, তা দিয়েই আপনি এখানে আয় করতে পারবেনআবার কিছু না জানলেও আয় করতে পারবেনআপনার নিজের ক্যামেরায় তোলা কোনো ছবি অথবা কোনো ই-বুক, অথবা কোনো এক্সক্লুসিভ ভিডিও এখানে আপনার ইনকামের মূলধন হতে পারে
এবার সে জায়গার নাম জানা যাকhttp://www.freelancer.com/marketplace-এ একবার ঢুকুন, পেয়ে যাবেন কথার প্রমাণএখানে আপনি কোনো প্রোডাক্টস বিক্রির জন্য দিয়ে রাখলে সারাজীবন ধরে এটা ডাউনলোড হতে থাকবেযখনই কেউ এখান থেকে আপনার প্রোডাক্টস ডাউনলোড করবে, আপনার অ্যাকাউন্টসে তখনই ডলার জমতে থাকবেযদি এখানে ঢোকেন, তাহলে দেখবেন আপনার সামনে অনেক প্রোডাক্টস দেখা যাচ্ছেযে কোনো একটিতে ক্লিক করে ঢুকলে দেখবেন, ডানপাশে দেয়া আছে কতবার এটি ডাউনলোড হয়েছে
আপনি এখানে দুধরনের কাজ বিক্রি করতে পারবেনকোনো প্রোডাক্টস অথবা কোনো সার্ভিসের অফার করতে পারেনফেসবুকে ১০০ লাইক বানিয়ে দেবেন অথবা ২০০ সোশ্যাল বুকমার্ক সাইটে লিংক শেয়ার দেয়ার অফার করতে পারেন অথবা আরও যা ইচ্ছা আপনি অফার করতে পারবেন 
আপনি যখন লগইন করবেন, তখন ২টি জিনিস দেখতে পাবেনSell your files, sell your services| Sell your files-এ ঢুকলে আবার ২টি অপশন পাবেনsell exclusively, sell same itemsযে জিনিস আগে কোথাও বিক্রি হয়নি, এখানেই প্রথমে বিক্রি হচ্ছে, সেটা বিক্রির জন্য sell exclusively-এ ঢুকতে হবেআর অন্যগুলো বিক্রির জন্য sell same items-এ ঢুকতে হবে 
এবার আসি sell your services অপশনেআগের কোনো এক পর্বে fiverr.com-এর কথা বলেছিলামযারা পড়েননি, তারা এ ধারাবাহিকের আগের পর্বগুলো পড়লে সে ব্যাপারে জানতে পারবেনযা-ই হোক, আপনি যদি sell your services অপশনে যান, সেখানে fiverr.com-এর মতো সব অপশন পাবেনসেখানে আপনি কোনো সার্ভিসের অফার দিতে পারবেনআপনার অফার ৬ মাসের জন্য লিস্টিং করতে পারবেন, এটি সম্পূর্ণ ফ্রি 
আপনার পণ্য অথবা সার্ভিসের অফার লিস্টিং শেষএবার চিন্তা শেষএখন সারাজীবন এখান থেকে ডলার পেতে থাকবেনযখনই কেউ ফাইল ডাউনলোড করবে, আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার জমবেযখন ইচ্ছা সে ডলার পেপ্যাল অথবা মানিবুকারসের মাধ্যমে তুলতে পারবেনআজ এ পর্যন্তইতাই শুরু করে দিন অনলাইন থেকে আয় 


ব্লগের লেখা স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুগল প্লাসের পেজে নেয়া

ব্লগের লেখা বিভিন্নভাবে টুইটারে, ফেসবুকে নেয়া যায়, কিন্তু গুগল প্লাসে নেয়া যায় নাকিন্তু হুটসোয়িট দ্বারা ব্লগের বা ওয়েবসাইটের লেখা আরএসএস ফেড ব্যবহার করে গুগল প্লাসের (বিজনেস) পেজে নেয়া যায়এই টুলসের সাহায্যে টুইটারে, ফেসবুকের প্রোফাইলে/পেজে/গ্রুপে, ওয়ার্ডপ্রেসে বা অনান্য বেশকিছু সোস্যাল সাইটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট করা যায় 
> এজন্য www.hootsuite.com সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে লগইন করুন
>
এবার http://www.hootsuite.com/dashboard#/member এ ক্লিক করে নিচের My Social Networks-এর Add a Social Networks-এ ক্লিক করুন 
>
ওপেন হওয়া পপআপ থেকে Google+ ট্যাবে ক্লিক করে Connect with Google+ বাটনে ক্লিক করলে নতুন উইন্ডো খুলবেএই উইন্ডো থেকে (গুগলে লগইন করা থাকলে) অথোরাইজ করুনএকাধিক গুগল প্লাস পেজ থাকলে নির্বাচন করুন এবং Finished Importing বাটনে ক্লিক করুন
>
আরএসএস ফিড যুক্ত করতে বাঁ পাশের প্যানেলের Settings G RSS/Atom ক্লিক করুন
>
এখানে RSS/Atom Feed-এর নিচে প্লাস (Add New Feed) বাটনে ক্লিক করে Feed URL-এ ফিড লিংক লিখে Profile to send feed items to: এর নিচে কোনো গুগল প্লাসের পেজটি নির্বাচন করে, সময়, পোস্টের সংখ্যা নির্ধারণ করে Save Feed বাটনে ক্লিক করুন
এখন থেকে ব্লগে কোনো পোস্ট হলেই তা আরএসএস ফিডের মাধ্যমে গুগল প্লাসে পোস্ট হবেফ্রি অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ দুটি আরএসএস ফিড যুক্ত করা যাবে

mehdi.akram@gmail.com

Thursday, August 2, 2012

এসইও-র ১০ টিপস

সবাই চায় তার ওয়েবসাইটটি গুগল কিংবা বিংয়ের সার্চে সবচেয়ে ওপরের দিকে থাকুক। সেটা করতে গিয়েই একটি টার্ম খুব প্রচলিত। সেটা হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)। অর্থাত্ সার্চ ইঞ্জিনগুলো কীভাবে আপনার ওয়েবসাইটকে এনালাইসিস করছে এবং কীভাবে সেটা সার্চের ফলাফল হিসেবে নিয়ে আসছে, সেটা অপটিমাইজ করা। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, কোনো কিছু দিয়ে গুগলে গিয়ে সার্চ করলে যেন আপনার পৃষ্ঠাটি প্রথমে চলে আসে। তাতে আপনার পৃষ্ঠায় ট্রাফিক বেশি আসবে। বেশি মানুষ আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে, যদিও পুরোপুরি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করা একটি বেশ জটিল বিষয়। তবুও কিছু ছোট ছোট পদক্ষেপ আপনাকে অনেক সাহায্য করতে পারে। আর যারা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) নিয়ে আউটসোর্সিং/ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে চান, তারা বেসিক বিষয়গুলো এখান থেকে জেনে নিতে পারেন।
প্রথমত : আপনি যে কাজটি করতে পারেন, তা হলো আপনার ওয়েবসাইটটির একটি গ্লোবাল অবস্থান (ranking) জেনে নিতে পারেন। এর জন্য মোটামুটি একটি ওয়েবসাইট হলো অ্যালেক্সা.কম (http://WWW.alexa.com)| বিখ্যাত অ্যামাজন.কম এই ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করে থাকে। সেখানে গিয়ে যদি ওয়েবসাইটের ঠিকানাটি লিখে দিন, তাহলে দেখতে পাবেন সাইটের অবস্থান (ranking) কোথায়। তবে একটি বিষয় এখানে বলে রাখা ভালো যে, অ্যালেক্সাতে ওয়েবসাইটের অবস্থান পুরোপুরি সঠিক নয়। তবে মোটামুটি একটা ভালো গাইডলাইন পাওয়া বটে। আপনার লক্ষ্য হবে সেই অবস্থানটিতে ওপরের দিকে ওঠা; অর্থ্যাত্ ১ হলো সর্বোচ্চ অবস্থান। দশ হাজার হলো নিচের দিকের অবস্থান।
দ্বিতীয়ত : আপনার ওয়েবসাইটটি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে রেজিস্ট্রেশন করুন। এটা করতে বিভিন্ন রকমের সফটওয়্যার পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার না করে, সরাসরি নিজেই কাজটি করতে পারেন এই ঠিকানায়—
http://www.google.com/addurl/?continue=/addurl
তৃতীয়ত : প্রতিটি ওয়েব পেজের একটি টাইটেল থাকে। সেই টাইটেলটি থেকে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে, এই পৃষ্ঠাটি কিসের ওপর নির্মিত। এখানে আরেকটি কথা বলে নেয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের রয়েছে রোবট, যা বিভিন্ন সময়ে গিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট স্বয়ংক্রিয়ভাবে পড়ে নিয়ে আসে। আমরা মানুষ যখন ইন্টারনেট ব্রাউজ করে ওয়েব পেজ ব্রাউজারে লোড করি, একইভাবে রোবটগুলো (মূলত সফটওয়্যার) বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে সব পৃষ্ঠা নিজের কাছে নিয়ে আসে। তারপর বিভিন্ন রকম অ্যালগরিদমের ভিত্তিতে সেই পৃষ্ঠাটিকে অ্যানালাইসিস করে থাকে। পৃষ্ঠার টাইটেল হলো তেমন একটি প্যারামিটার। এটা অনেকটা বাড়ির নামের মতো—বাড়ির নাম যদি হয় ‘নিরিবিলি’ তাহলে রোবট ধরেই নেবে, এই বাড়িটি হবে শান্ত ধরনের। আর বাড়ির নাম ‘নিরিবিলি’ দিয়ে কাজে দেখালেন হট্টগোল, তাহলে আপনি ধরা খেলেন। তাই টাইটেলটি হতে হবে অর্থবহ। কিন্তু টাইটেলে অযাচিত কি-ওয়ার্ড দিয়ে ভরে রাখবেন না। তাহলে ওগুলোকে স্প্যাম হিসেবে গণ্য করা হবে। আবার প্রতিটি পেজের টাইটেল যেন আবার একই না হয়।
চতুর্থত : যতটা সম্ভব আপনার যে কোনো পৃষ্ঠায় অন্য কিছু পুরনো পৃষ্ঠার লিংক দিন। এই লিংকগুলো থেকে রোবটগুলো বুঝতে পারে, এই পৃষ্ঠাটি ঠিক কিসের ওপর তৈরি করা। রোবটগুলো আমাদের ভাষা ততটা বুঝতে পারে না (কিছুটা পারে)। তাই এমন লিংক থেকে বুঝতে পারবে—কোথায় কোথায় এবং কোন কোন পৃষ্ঠার জন্য লিংক দিচ্ছেন। তার অর্থ হলো, এই পৃষ্ঠাতে নিশ্চই তেমন সব জরুরি বিষয় রয়েছে, নইলে আপনি লিংক দেবেন কেন? এই যুক্তিতে রোবটগুলো বুঝতে পারবে আপনার তৈরি পৃষ্ঠাটি কিসের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
পঞ্চমত : অন্যান্য ভালো ওয়েবসাইটের সঙ্গে সখ্য করুন। অর্থাত্ ভালো কোনো ওয়েবসাইট যদি আপনার ওয়েবসাইটকে তার কোনো লেখায় কিংবা পৃষ্ঠায় লিংক দেয়, তাহলে রোবট বুঝতে পারে আপনার ওয়েবপেজটি গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ধরুন, সিএনএন কিংবা বিবিসি যদি আপনার কোনো পৃষ্ঠার লিংক তাদের কোনো পেজে ব্যবহার করে, তাহলে তার মূল্য অনেক বেশি হবে। তাই ভালো ভালো ওয়েবসাইটগুলোর সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করুন।
ষষ্ঠত : এবারে উল্টোটা দেখে নিন। ওপরের যেখানে বললাম যে, অন্য কোনো সাইট যদি আপনার সাইটের রেফারেন্স দিয়ে থাকে, তাহলে আপনার সাইটটির মান ভালো। এবারে আপনি করলেন কি, চালাকি করে নিজেই কিছু সাইট বানিয়ে কিংবা আপনার বন্ধুদের সাইট থেকে নিজের সাইটে লিংক দিলেন। অনেক সময় অনেকেই টাকার বিনিময়ে লিংক এক্সচেঞ্জ করে থাকে। এই ধরনের ওয়েবপেজগুলোর রেপুটেশন ভালো নয়। আপনার সাইট যদি সেই খারাপ রেপুটেশনের কোনো ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে তার জন্য সাইটিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই অসত্সঙ্গ পরিহার করুন।
সপ্তমত : ছবির সঙ্গে ্তুঅখঞ্থ ট্যাগটি ব্যবহার করুন। রোবটগুলো ছবি দেখে বুঝতে পারে না, এটা কিসের ছবি। কিন্তু আপনার অখঞ ট্যাগটি দিয়ে বলে দিতে পারেন, এই ছবিটি কিসের। তা অনেক উপকারে আসবে।
অষ্টমত : মাঝে মাঝে কিছু কিছু শব্দ বোল্ড করতে পারেন, কিন্তু খুব বেশি নয়। কারণ সেটা পাঠককে যেমন বিরক্ত করে, সেটা রোবটগুলোরও বিরক্তি তৈরি করে।
নবমত : সাইটটি যদি অনেক বড় হয়, তাহলে একটি ‘সাইট ম্যাপ’ তৈরি করতে পারেন। মনে রাখবেন, একটি ওয়েবসাইট মানুষের জন্য যতটা সুবিধার হবে, সার্চ ইঞ্জিন তাকেই খুঁজে বের করতে চাইবে। এই সরল বিষয়টি মাথায় রেখে কাজে নেমে যান।
দশমত : যারা ফ্রিল্যান্স কাজ করতে চান, তাদের একটি বড় চাহিদা হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করা। হাজার হাজার ওয়েবসাইট তাদের পৃষ্ঠাকে সার্চ ইঞ্জিনের সবচেয়ে প্রথমে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাই আপনার কাজ পেতে কোনো সমস্যা হবে না। আপনাদের যে কাজটি বেশি করতে হবে, তা হলো, ওয়েব পেজটি পড়ে সেখান থেকে যথার্থ কি-ওয়ার্ডগুলো বের করতে হবে। অর্থাত্ আপনাকে বুঝতে পারতে হবে, ওই পেজটি কোন বিষয়ের ওপর লেখা, ওটা কি একটি কসমেটিক্স পণ্যের ওপর, নাকি ওটা কোনো চিকিত্সা সংক্রান্ত ওয়েব পেজ। তারপর কি-ওয়ার্ডগুলো সেই পেজে বসিয়ে দিতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং বিষয়ক প্রশ্নোত্তর 2


প্রশ্ন : আমি একজন কম্পিউটার অপারেটর। আমার যথেষ্ট আগ্রহ আছে আউটসোর্সিংয়ে। আমার ইংরেজি টাইপিং স্পিড বেশ ভালো। প্রাথমিক পর্যায়ে আমি আউটসোর্সিং ডাটা এন্ট্রির কাজ দিয়ে শুরু করতে চাই। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়ার প্রয়োজন মনে করছি, যেমন আমার প্রোফাইল কীভাবে উন্নত করব, কীভাবে কাজের জন্য বিড করব ইত্যাদি বিষয় জানার জন্য। এ বিষয়ে জানালে আমি এবং আরও অনেকে উপকৃত হবে। 

মাহমুদুল হাসান, ধানমন্ডি, ঢাকা।
mahmud2780@yahoo.com

পরামর্শ : আপনি নিয়মিত লক্ষ্য রাখুন। এই বিষয় ছাড়াও আরও অনেক বিষয়েই জানতে পারবেন আমাদের আউটসোসিং বিষয়ক ধারাবাহিকটিতে।

প্রশ্ন : আউটসোর্সিংয়ের মৌলিক ধারণাটা কেমন? আমি জানতে চাই, এই কাজ কীভাবে শুরু করা যায়। স্কুল লেভেলের শিক্ষার্থীরা কি এই কাজ করতে পারবে? তাদের জন্য সহজ কোনো কাজ কি আছে?
আজমাইন মাহতাব তাসিন
m.azmain@yahoo.com
পরামর্শ : কেউ যদি ইংরেজিতে মোটামুটি দক্ষ হয়, ইন্টারনেট চালানোয় যদি পারদর্শী হয়, তবে সে অনলাইনে ইনকাম করতে পারে। তবে আউটসোর্সিংয়ের কাজের আগে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করে নেয়াটা নিজের ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে।


প্রশ্ন : আমি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও শিখতে চাচ্ছি। কোথায় এসইও বা আউটসোর্সিং কোর্স করলে ভালো হবে। বিস্তারিত জানালে খুশি হব।
রাশেদ ইকবাল
বি-ফার্ম, ফ্যাকাল্টি অব ফার্মেসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
rash_du_pharmacy@yahoo.com
পরামর্শ : ইন্টারনেটের মাধ্যমেই আপনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন। তাই শেখার জন্য আপনি প্রাথমিকভাবে ইন্টারনেটকেই বেছে নিতে পারেন। এখন বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান আউটসোর্সিং ও এসইও বিষয়ে প্রশিক্ষন দিচ্ছে। ইচ্ছে করলে ভর্তি হয়ে হাতে কলমে শিখতে পারেন। তবে যেখানেই শিখুক না কেন, ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান ও প্রশিক্ষক সম্পর্কে ধারনা নিয়ে তা জেনে নেবেন।
প্রশ্ন : আমার দেশ পত্রিকা আমার সবচেয়ে পছন্দের। এখানে বিজ্ঞান ও কম্পিউটার পাতা যদি প্রতিদিন রাখা হতো তাহলে এসব বিষয়ে অনেক জানতাম।
জহিরুল ইসলাম
ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী
remufeni11@gmail.com
পরামর্শ : না ভাই, প্রতিদিন সম্ভব নয়। এটি সাপ্তাহিক ফিচার পাতা।

প্রশ্ন : আমি ২০১২ সালে সায়েন্স থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। আমি এখন অনলাইনে কাজ করতে ইচ্ছুক। বিশেষ করে আমি ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই। আমাকে কিছু পরামর্শ দিবেন।
আশিকুর রহমান, নোয়াখালী।
asikurrahman7@gmail.com
পরামর্শ : আউটসোর্সিংয়ের যে কোনো কাজ শুরু করার আগে ভালোভাবে জেনে কাজ শুরু করতে হবে। না জেনে কাজ শুরু করলে তেমন লাভ নেই। আপনি আমাদের ধারাবাহিক অনলাইন ইনকামের ওপর আলোচনায় চোখ রাখুন। আশা করা যায়, কিছু বিষয় আয়ত্তে এসে যাবে।

অনলাইনে আয়ের নানা উপায়

ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনেকভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়। কেউ অন্য কাজের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে অতিরিক্ত আয় করেন, কেউ একেই পেশা হিসেবে ব্যবহার করেন এবং অন্য পেশার থেকেও বেশি আয় করেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন থাকতে পারে—আয়ের বিভিন্ন পথের মধ্যে কোনটি বেশি গ্রহণযোগ্য, কিংবা লাভজনক?
এককথায় এর উত্তর দেয়া কঠিন। ওয়েব ডিজাইন করলে বহু টাকা আয় করা যায়, কিন্তু সেটা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। ডাটা এন্ট্রি বা টাইপিং সে তুলনায় সহজ কাজ। আবার কারও কারও পক্ষে সেটাও সম্ভব হয় না বিভিন্ন কারণে। কারও কাছে নিজস্ব ব্লগ তৈরি করা লাভজনক। ব্লগ জনপ্রিয় হলে সেখানে বিজ্ঞাপন রেখে যথেষ্ট পরিমাণ আয় করা যায়। তবে ইন্টারনেটে আয়ের বিভিন্ন পথগুলোর মধ্যে কিছু হলো—

ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন কাজ
যদি বিশেষ কাজে দক্ষতা অর্জন করে সেই কাজ নিয়ে থাকতে চান তাহলে আয়ের সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে কাজ করা। ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং—সব ধরনের প্রচুর কাজ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে ইন্টারনেটে। কাজের মজুরি ডলারে, কাজেই স্থানীয় কাজ থেকে তুলনামূলক বেশি। উদাহরণ হিসেবে একটি লোগো ডিজাইন করে পেতে পারেন ১০ থেকে ১০০ ডলার কিংবা আরও বেশি। এক পৃষ্ঠা টাইপ করে পেতে পারেন ২ থেকে ৫ ডলার। বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ রকম কাজ পেতে সহায়তা দেয়। ফ্রিল্যান্সার, স্ক্রিপ্টল্যান্স, গুরু, ওডেস্ক এ ধরনের সাইট। তাদের সদস্য হওয়া যায় বিনামূল্যে। তবে কাজ করলে অর্থ প্রদানের সময় তারা সামান্য ফি কেটে নেয়।

মাইক্রো-জব
মাইক্রো-জবকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। পার্থক্য হচ্ছে, এই কাজগুলো খুব সহজ। সহজ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়া। কোনো লিস্টে কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে নির্দিষ্ট বিষয় সিলেক্ট করা, ছবির সঙ্গে মানানসই নাম দেয়া, কিছু ডাউনলোড করা ইত্যাদি উদাহরণ হিসেবে দেখতে পারেন।

ব্লগিং
গুগলের বিনামূল্যের ব্লগিং ব্যবস্থা ব্লগার ব্যবহার করে যে কোনো বিষয়ে একটি ব্লগ তৈরি করে যথেষ্ট পরিমাণ আয় করা যেতে পারে। ব্লগে ভিজিটর যত বেশি আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি। এজন্য শুরুতে একটি বিষয় বেছে নেয়া প্রয়োজন। ইন্টারনেটে খোঁজ করে ব্লগের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন। বস্তুত বিষয়ের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। যার যে বিষয়ে আগ্রহ তিনি সেই বিষয়ে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। এমনকি ছবি ওঠানোর শখ থাকলে ওঠানো ছবিগুলো রেখেই ব্লগ তৈরি করা যায়। ব্লগ তৈরির পর গুগলের এডসেন্সসহ অন্যান্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের সদস্য হয়ে ব্লগে বিজ্ঞাপন যোগ করা হয়। বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েশন নিয়ে তাদের লিংক রাখতে হয়। ভিজিটর যখন সেই বিজ্ঞাপন বা লিংকে ক্লিক করবেন তখন ব্লগার টাকা পান। শুধু ক্লিক করার জন্য টাকা, কিছু কিনলে কমিশন, সদস্য হলে কমিশন ইত্যাদি নানাভাবে আয় আসতে থাকে। ব্লগারের মূল কাজ বেশি ভিজিটর আনার ব্যবস্থা করা।

লেখালেখি করে আয়
ইন্টারনেটে ব্লগ বা ওয়েবসাইট রয়েছে বহু কোটি। তাদের প্রত্যেকের পক্ষে সবকিছু নিজেদের পক্ষে লেখা সম্ভব হয় না। সব সময়ই তারা টাকা দিয়ে লেখা সংগ্রহ করেন। কিছু প্রতিষ্ঠিত সাইট রয়েছে, যারা বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ লেখার সুযোগ করে দেয় এবং রিভিউপ্রতি ২০ থেকে ৪০ ডলার দেয়। কখনও কখনও সেই লেখা থেকে যা আয় হয়, তার ৪০ থেকে ৫০ ভাগ লেখককে দেয়া হয়। এ ধরনের কাজ পাওয়া তুলনামুলক সহজ। প্রায় সব ওয়েববসাইট যেহেতু ইংরেজিতে সেহেতু লিখে আয় করার জন্য ইংরেজিতে দক্ষতা প্রয়োজন হয়। এটাই মূল যোগ্যতা। এরপর যে বিষয়ে লিখতে হবে, সে বিষয়ে তারা তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন অথবা ইন্টারনেট থেকেই তথ্য সংগ্রহ করা যায়।

টেমপ্লেট ডিজাইন
টেমপ্লেট ডিজাইন হলো কোনো ওয়েবসাইট তৈরির প্রাথমিক ধাপ। ধরুন, আপনি ভ্রমণসংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইট করতে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ছবি ও তথ্য ওয়েবপেজের কোন জায়গায় কতটুকু যাবে, তার একটি প্রাথমিক ডিজাইন এই টেমপ্লেট। তাই আয়ের একটি ভালো পথ হলো টেমপ্লেট ডিজাইন তৈরি। বিভিন্ন টেমপ্লেটের নমুনা দেখতে ভিজিট করুন :
www.freewebsite templates.com, www.joomladesigns.co.uk.

সার্ভে করে আয়
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা কারণে জনমত জরিপ করে। বর্তমানে ইন্টারনেটের কল্যাণে এ কাজ অনেক সহজ। ফলে যে কেউ ইচ্ছা করলেই এতে অংশ নিয়ে টাকা আয় করতে পারেন। কাজটি তুলনামূলক সহজ। তারা নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন দিয়ে দেন, সেগুলোর ভিত্তিতে উত্তর সংগ্রহ করতে হয়।
সমস্যা হচ্ছে, সব দেশে সমানভাবে এই কাজ পাওয়া যায় না। অনেকে নির্দিষ্ট করে বলে দিতে পারেন ইউরোপ-আমেরিকার কথা, কিংবা বিপরীতভাবে বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয় এমন কথা।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজিং
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজিং বা এসইও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সার্চ রেজাল্টে কোনো ওয়েবসাইটের অগ্রাধিকার ঠিক করা সম্ভব। যেমন—কোনো কোম্পানির শিক্ষাবিষয়ক একটি সাইট আছে। তারা চাচ্ছে, গুগল সার্চের ফলাফলে তাদের সাইটটি শুরুর দিকে থাকুক। এক্ষেত্রে এসইও জানা থাকলে তা করা সম্ভব। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করতে পারেন : en.wikipedia.org/wiki/search-engine-optimization

গ্রাফিক ডিজাইন
যদি গ্রাফিক ডিজাইন জেনে থাকেন তবে এ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনের বিভিন্ন সাইট থেকে কাজ বাগিয়ে নিতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোগো, প্যাড, বিজনেস কার্ড, লেটার হেড করতে গ্রাফিক ডিজাইনে জ্ঞান প্রয়োজন। গ্রাফিক ডিজাইনসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে দেখতে পারেন :
www.graphicdesign.aboutcom, www.graphic-design.com, www.graphiccompetitions.com

অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার
বর্তমান প্রজন্মের কাছে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট জনপ্রিয় হচ্ছে। ধরি আপনি একটি সাইট করলেন যেখানে ইংরেজি থেকে বাংলা এবং বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করা যায়। আপনি যদি সাইটটি আপলোড করেন তাহলে অনেকেই এটি ব্যবহার করবে। আপনি ইচ্ছে করলে এর সঙ্গে গুগল অ্যাডসেন্সের মতো বিজ্ঞাপনি সেবাগুলো যোগ করতে পারেন। বেশি ভিজিট বা বেশি ক্লিক মানেই পকেটে অর্থ। ভালো গেমস অ্যাপ্লিকেশন করতে পারলেই ফেসবুক সেটি কিনে নেবে। ফেসবুকে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করতে ভিজিট করুন www.developers.
facebook.com

নতুন কিছু
ফ্ল্যাশ তৈরি, প্রোডাক্ট রিভিউ, ব্লগ তৈরি, প্রজেক্ট টেস্টার অর্থ উপার্জনের আরও কয়েকটি পথ। তবে টেকনিক্যাল জ্ঞান না থাকলে নেটে প্রচুর টিউটোরিয়াল রয়েছে যেখানে বেশ কিছু কাজের গোছানো বর্ণনা রয়েছে। এখান থেকে আপনি কাজগুলো শিখে নিতে পারেন।
আপনি যদি নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনি সহজেই বিপুল পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্স করায়।

সহজে আয় কতটা সহজ?
সহজে আয় বলতে মূলত ক্লিক করে আয় বুঝায়। পিটিসি বা পেইড টু ক্লিক হচ্ছে এক ধরনের বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। সেখানে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। আপনি যেহেতু সেই বিজ্ঞাপন দেখবেন, সেহেতু টাকা পাবেন। প্রতি বিজ্ঞাপনের জন্য ১ বা ২ সেন্ট থেকে শুরু করে .১ সেন্ট পর্যন্ত। তবে অর্থের পরিমাণ একেবারেই কম।
অনেক পিটিসি সাইট ক্লিক করে আয়ের সঙ্গে নানা ধরনের পদ্ধতিতে আয়ের সুযোগ দেয়। যেমন ইমেইল সদস্য হলে আপনার কাছে ইমেইল আসবে, সেগুলো পড়বেন বলে আপনি অর্থ পাবেন (এগুলোও বিজ্ঞাপন)। অন্যদের সদস্য করলে তারা যে আয় করবেন তার অংশ পাওয়া যায়।
এ ধরনের আয় সম্পর্কে কিছুটা সাবধান থাকা ভালো। এভাবে আয়ের পরিমাণ অত্যন্ত কম। কাজ সহজ বলে অনেক কোম্পানি বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে কাজ করায় (যেমন প্রতি ক্লিকে ১ ডলার বা ১০ ডলার), বাস্তবে কোনো বিজ্ঞাপনদাতা এত টাকার বিজ্ঞাপন দেন না। ফল হিসেবে আপনার নামে টাকা জমা হওয়ার পর যখন টাকা চাইবেন তখন সেই কোম্পানি আর যোগাযোগ করবে না।
আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, অনেক কোম্পানি সদস্য হওয়ার জন্য টাকা দিতে বলে। এভাবে বহুজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। বাংলাদেশেও ডোল্যান্সারসহ সম্প্রতি এ রকম কয়েকটি কোম্পানি কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। কোনো পিটিসি সাইটের সদস্য হওয়ার আগে তাদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া ভালো। এই প্রধান পথগুলোর বাইরে ইন্টারনেট থেকে আয়ের আরও অসংখ্য পথ রয়েছে। নিয়মিত কিছুদিন ইন্টারনেটে সার্চ করে তাদের বর্ণনা পড়ে নিজের পছন্দের পদ্ধতি খুঁজে নিতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং বিষয়ক প্রশ্নোত্তর


প্রশ্ন ৫: আমি একজন গৃহবধূপ্রতিদিন ৪-৫ ঘণ্টা ইন্টারনেটে থাকিসংসারে সাহায্য করার জন্য ইন্টারনেট থেকে আয় করতে আগ্রহীআমি কীভাবে তা করতে পারি?

সমাধান : আপনি ঘরে বসেই আয় করতে পারেনতবে আপনি কোন বিষয়ে আগ্রহী এবং ওই বিষয়ে আপনার দক্ষতা কতটুকু, এটার ওপর নির্ভর করছে আপনি কতটুকু ভালো করতে পারবেনতবে দক্ষতা না থাকলেও চেষ্টা করে অর্জন করা যায়

প্রশ্ন ৩ : আমরা যারা ইংরেজিতে প্রবন্ধ লিখতে পারি না, তাদের পক্ষে কি ইন্টারনেট থেকে আয় করা সম্ভব?
সমাধান : ইংরেজিতে দুর্বল হলে ইন্টারনেটে আয়টা কঠিন হতে পারেতবে একেবারেই যে সম্ভব নয়, তা নয়ব্লগিং ছাড়াও আরও হাজারো উপায়ে আয় করা সম্ভবযেমন : ডিজাইন, ডাইরেক্টরি সাবমিশন, ডাইরেক্টরি বানানো, অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম, বিজ্ঞাপন পোস্টিংএগুলোতে ইংরেজিতে অপেক্ষাকৃত কম দক্ষতা হলেও চলেতবে সাফল্য পেতে হলে সঠিক উপায়ে এগিয়ে যেতে হবেআমাদের আইটি পাতায় প্রতি মঙ্গলবার অনলাইনে ইনকামের ওপর ধারাবাহিকভাবে যেই আলোচনা করা হচ্ছে সেটা নিয়মিত দেখলে অনেককিছু শিখতে পারবেন
প্রশ্ন : আমি কি পড়াশোনা শেষ করার পর ফ্রিল্যান্সিং করব, না পড়াশোনা চলাকালেই শুরু করব?
সমাধান : চাকরি খোঁজার চেয়ে ফ্রিল্যান্সিং দ্রুত শুরু করা যায়এখানে খোঁজাখুঁজির কোনো বিষয় নেই, সরাসরি কাজ শুরু করা যায়যারা চাকরিতে প্রথম ঢোকেন তাদের সাধারণত কম বেতনে কাজ করতে হয়অনেক সময় নিজের খরচ চালানোর চেয়েও কম আয় করে চলতে হয়তারাও অতিরিক্ত আয়ের পথ হিসেবে এসব কাজ করতে পারেন
আবার পড়াশোনা শেষ করার পরই কাজে যোগ দেয়ার সময় এক ধরনের উত্সাহ-উদ্দীপনা থাকেতাদের পক্ষে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভালো করার সুযোগ বেশিঅনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে বেশ ভালো আয় করেনকিন্তু পড়াশোনার যেন কোনো ব্যাঘাত না হয়, সে বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে

প্রশ্ন : ইন্টারনেট থেকে আয় করতে হলে কী যোগ্যতা লাগবে?
সমাধান : ইন্টারনেট থেকে আয় করতে হলে ইংরেজিতে দক্ষতা থাকা চাইইন্টারনেট চালানোর পাশাপাশি যেই কাজগুলো করবেন, সে বিষয়ে হাতে-কলমে দক্ষতা অর্জন করতে হবেএত্ধঢ়যরপং, ঝঊঙ, বিনফবংরমহ, অত্ঃরপষব ত্রিঃরহম জানা থাকলে আপনি বেশি আয় করতে পারবেন

প্রশ্ন ৪ : ইন্টারনেট থেকে আয় করার কি কোনো বয়স নির্দিষ্ট আছে?
সমাধান : না, এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো বয়সের দরকার নেইক্লায়েন্টের জন্য কোনো রিকয়্যারমেন্ট দেন না যে, অত বয়স হতে হবেআপনার কাজ করার ও ডেলিভারি দেয়ার যোগ্যতা থাকলে আপনি করতে পারবেন

Wednesday, August 1, 2012

ফ্রিল্যান্সিং ধারাবাহিক : অনলাইনে আয়ের ১০০ উপায় (পর্ব ৬)


আমার দেশ বিজ্ঞান ও কম্পিউটার পাতায় নিয়মিত ছাপা হচ্ছেঅনলাইন আয়ের ১০০টি ট


আপনি যা পারেন এমন কাজেই বিড করুন 
কোনো কাজ যদি ফুলটাইম না করে চুক্তিভিত্তিকভাবে সম্পন্ন করা হয়, কাজ অনুযায়ী পেমেন্ট দেয়া হয়, তাহলে তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলেঅনেক কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠানের কাজের কোনো একটা অংশ করার জন্য বাইরে থেকে ফ্রিল্যান্সার ভাড়া করেসেক্ষেত্রে সেই কোম্পানির স্টাফদের মাসিক বেতনের যে বাজেট তা বাড়াতে হয় না, বা কাউকে বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিতে হয় নাএজন্য অনেক কোম্পানি ফ্রিল্যান্সার খুঁজে থাকেঅন্য দেশের কোম্পানিগুলো এক্ষেত্রে অনুন্নত দেশগুলোকে পছন্দ করে থাকেকারণ সেসব দেশের শ্রমের মূল্য অনেক কম 
ফ্রিল্যান্সিং ইন্টারনেট থেকে টাকা আয়ের একটি সুন্দর পথ বাংলাদেশীদের জন্যমনে করুন, একটি ৫০০ ডলারের কাজ বাংলাদেশীরা ৪০০ থেকে ৪৫০ ডলারে সহজেই করতে পারবেআমাদের দেশের সাধারণ একটি পরিবার ৩০০ ডলারে এক মাস স্বচ্ছন্দে চলতে পারেতাই বিড করে কাজ পাওয়া কঠিন কিছু নয়তবে কাজ ধরলে শুধু হবে না, কাজটি নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে হবে, নইলে ক্লায়েন্টের কাছে নিজের ও দেশের মান ক্ষুণ্ন হবে এবং আপনার কাজের রেকর্ড খারাপ হবেতাই আপনি করতে পারবেন এমন কাজ ধরার চেষ্টা করবেন 
ফ্রিল্যান্সিং হলো ইন্টারনেটে স্বাধীনভাবে কাজ করার একটি পেশাএখানে অফিস, গ্রাফিক্স, ওয়েব ডিজাইন, এসইও, আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি বিষয়ের কাজ পাওয়া যায়ভয় নেই, আপনি সাধারণভাবে এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল জানলেও ডাটা এন্ট্রির কাজ করার সুযোগ পেতে পারেনএই সাইটগুলোতে প্রতিদিন হাজার হাজার কাজ জমা হয়তবু আপনাকে প্রথম দিকে কাজ পেতে কিছুটা বেগ পেতে হবেচেষ্টা করলে একসময় ফল পাবেনঅনেকে এক সপ্তাহ চেষ্টা করে কাজ না পেয়ে আশা ছেড়ে দেনএমন করলে সামনে এগুতে পারবেন না 
কাজের বিডের ক্ষেত্রে অনেক বেশি কৌশলী হতে হবেবিডের ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে কম বিড করলেই যে কাজ পেয়ে যাবেন, এই ধারণা ভুলতখন বায়ার আপনার ব্যাপারে ভুল ধারণা পেয়ে থাকতে পারেবিডের ক্ষেত্রে আগে কাজটা ভালোভাবে বুঝতে হবেঅন্যদের বিডগুলো ভালোভাবে দেখতে হবেভালো বায়ারের সঙ্গে যোগাযোগের সময় বায়ারকে যেকোনোভাবে হোক অনুপ্রাণিত করতে হবেসেজন্য আপনি বিড করার পাশাপাশি প্রাইভেট মেইলে আপনার অভিজ্ঞতার বর্ণনাসহ আবেদন করতে পারেনযেহেতু বায়ার বাইরের দেশেরসুতরাং তার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ইংরেজিতে কথা বলা, লিখতে পারা, বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে 
ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে বিভিন্ন সাইট সম্পর্কে কোনো তথ্য জানতে বা সমস্যা বোধ করলে অথবা আপনার মনে কোনো প্রশ্ন জাগলে সেই ওয়েবসাইটের ভধয় দেখতে পারেনসেখানে সাধারণত অনেক সাধারণ প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেনতারপরও যারা অনলাইন থেকে নিজে নিজে শিখতে অভ্যস্ত নন, তারা কোনো ভালো ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারেননা শিখে কাজ শুরু করলে ভালো ফলাফল আশা করতে পারবেন না 


অনলাইনে আয়ের ১০০ উপায় (পর্ব-৫)


আমার দেশ বিজ্ঞান ও কম্পিউটার পাতায় নিয়মিতভাবে ছাপা হচ্ছেঅনলাইন আয়ের ১০০টি টিপস শীর্ষক টিউটোরিয়াল পর্বএসব বিষয়ে নিয়মিত লিখছেনআন্তর্জাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সফল ফ্রিল্যান্সার, বিভিন্ন কর্মশালা 

ও প্রশিক্ষণ পরিচালনাকারী ও ব্লগারমো: ইকরাম
আগ্রহী যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান, চোখ রাখুন প্রতি মঙ্গলবার


এই পর্বে একটি মজার ও সহজভাবে অনলাইনে আয়ের উপায় নিয়ে আলোচনা করবফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা মনে করি www.odesk.com, www.Freelancer.com, www.scriptlance.com ইত্যাদি সাইটগুলোকে, যেখানে একজন বায়ার নির্দিষ্ট কোনো কাজ পোস্ট করেনওই কাজে ফ্রিল্যান্সাররা বিড/আবেদন করেনতার মধ্যে বায়ার সাধারণত একজনকে নির্বাচিত করেনকাজ পেতে এসব সাইটে নূতন ফ্রিল্যান্সারদের যথেষ্ট প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়আজ আমি একটি ভিন্ন ধারার ফ্রিল্যান্সিং সাইটের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব, যার নাম www.fiverr.comসাইটটির বয়স খুব বেশি দিন হয়নিতবে এরই মধ্যে সাইটটি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেকয়েক লাখ ভিজিটর নিয়ে সাইটটি এগিয়ে চলেছেতবে একই ধরনের আরও কয়েকটি ওয়েবসাইট আছেসেগুলোর মধ্যে মরমনঁপশং.পড়স অন্যতম

কাজের পদ্ধতি
সাইটটিতে মূলত ফ্রিল্যান্সাররা কোনো কাজের অফার দিয়ে থাকেযার মূল্য (নির্দিষ্ট) ৳৫এখানে বায়ার আপনার কাজকে খুঁজে নেবেযেমন ধরুন, আপনি গ্রাফিক ডিজাইনে দক্ষ, ভালো বিজনেস কার্ড ডিজাইন করতে পারেনআপনি এভাবে অফার লিখতে পারেনwill create a simple & professional business card design only $5. অথবা আপনি লিংক বিল্ডিংয়ের কাজে দক্ষ হলে এভাবে লিখতে পারেনwill sign up & create 100+ account on various high PR site for $5.
অথবা আপনি যদি Social Networking-এ দক্ষ হন, যদি থাকে ২/৩ হাজার ফেসবুক ফ্রেন্ডস, আপনি বায়ারের ওয়েবসাইট প্রমোটের জন্য এভাবে অফার দিতে পারেনwill promote your website on 2000 friends facebook page. মজার ব্যাপার হচ্ছে, আপনার কাজ বা সার্ভিস যতবার বিক্রি হবে ততবার পাবেন আপনি নির্ধারিত প্রাপ্য টাকাপ্রতিবার বিক্রির ওপর আপনি পাবেন ৪ ডলার আর সাইট কর্তৃপক্ষ নেবে ১ ডলারঅর্থাত্, আপনার কোনো প্রজেক্ট যদি ২০ বার বিক্রি হয়, তবে আপনি পাবেন ৮০ ডলারআবার এখানে র্যাংক সিস্টেম আছেযদি আপনি ১০টা অর্ডার সফলভাবে শেষ করতে পারেন, তাহলে আপনার র্যাংক হবে ১তখন আপনি ১০ ডলারে কাজের অফার দিতে পারবেনএভাবে র্যাংক বাড়তে বাড়তে একটা পর্যায় আপনি ৫০ ডলার পর্যন্ত অফার করতে পারবেনএছাড়া আপনি কোনো ক্রেতাকে মানিয়ে নিয়ে একটা কাজের জন্য একের অধিক কাজের পরিমাণ পেমেন্ট নিতে পারবেনতখন আপনার আয় অনেক বেড়ে যাবেসাইটটি ভিজিট করে ফ্রিল্যান্সারদের পোস্ট করা কাজগুলো পর্যবেক্ষণ করলে আরও আইডিয়া পেয়ে যাবেনসাইটটির ঠিকানাwww.fiverr.com. একবার ঢুকলেই বুঝতে পারবেন, এখানে কত রকম কাজের অফার দেয়া সম্ভবএখানে আপনার কাজ যদি জনপ্রিয় হয়, তাহলে মাসে ২০০ থেকে ৪ হাজার ডলার আয় করতে পারবেন

পেমেন্ট সিস্টেম
সাইটটি আপাতত শুধু পেপ্যালের মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকেবাংলাদেশে এখনও পেপ্যাল চালু না হওয়ায় অনেকেই হয়তো সাইটটিতে কাজ করতে পারবেন নাতবে বাংলাদেশে অনেকে নিজেদের ভেরিফাইড পেপ্যাল দিয়ে এই সার্ভিস দিয়ে থাকেনগুগল সার্চ দিয়ে তাদের নাম বের করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনআশা করা যায়, শিগগিরই বাংলাদেশে চালু হবে আমাদের কাঙ্ক্ষিত পেপ্যাল

অনলাইনে আয়ের ১০০ উপায়(পর্ব ৪)

আমার দেশ ‘বিজ্ঞান ও কম্পিউটার’ পাতায় নিয়মিতভাবে ছাপা হচ্ছে—অনলাইন আয়ের ১০০টি টিপস শীর্ষক টিউটোরিয়াল পর্ব। এসব বিষয়ে নিয়মিত লিখছেন—আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে সফল ফ্রিল্যান্সার, বিভিন্ন কর্মশালা-প্রশিক্ষণ পরিচালনাকারী ও ব্লগার—মো. ইকরাম
আগ্রহী যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান, চোখ রাখুন প্রতি মঙ্গলবার।
(পর্ব ৪)

অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে আয়
অনলাইনে আয়ের মাধ্যমগুলোর মধ্যে এক অনন্য ও বিশ্বস্ত নাম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েশন। অনলাইন থেকে আয়ের বিভিন্ন ট্রেডের মধ্যে অন্যতমই বলব এটাকে। এখান থেকে আয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা যে কোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে সাধারণত বিভিন্ন ডিলার/পাইকারি ব্যবসায়ীকে দেখেছি যারা কোনো নির্দিষ্ট নামকরা কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস কমিশনের (% আকারে) ভিত্তিতে বিক্রি করে দেন। এইসব ব্যবসার ক্ষেত্রে বিক্রি করে দেয়ার শর্তে ডিলার/পাইকাররা কোম্পানি থেকে নির্দিষ্ট মাত্রায় (% হারে) কমিশন নিয়ে থাকে। যেমন ধরুন, স্যামসাং কোম্পানি তাদের মনিটর বিক্রি করবে। সেটা তারা নিজেরা সরাসরি বিক্রি করে না, বিভিন্ন পাইকারের মাধ্যমে বিক্রি করে। পাইকাররা এই মনিটর বিক্রি করে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে থাকেন। যে কোনো ব্যবসা এভাবেই ঘটে থাকে। ই-কমাসের্র এই যুগে সেটাই হয়ে থাকে অনলাইনে। আর ব্যবসার এই অনলাইন রূপটাকেই Affiliate বলে।
অ্যাফিলিয়েশন হচ্ছে এমনই একটি প্রোগ্রাম, যার মাধ্যমে কোনো ওয়েবসাইট যারা নিজের ওয়েবসাইটে কোনো কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস অ্যাডস হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে ওই কোম্পানিকে বিভিন্ন প্রোডাক্টস অনলাইনে বিক্রি করে দেয়ার শর্তে কমিশন ভিত্তিতে কাজ করে থাকে। এই সাইট থেকে রেফারেল হয়ে যদি কোম্পানির প্রোডাক্টস কেউ কেনে তবে কোম্পানি তাদের দেয়া শর্ত অনুযায়ী তাকে কমিশন দিতে বাধ্য থাকে। আর এটাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েশন। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস নিয়ে অ্যাফিলিয়েশন করতে দেখা যায়। যেমন : বিভিন্ন খেলার লাইভ ওয়াচ, মুভি লাইভ ওয়াচ, কলিং কার্ড, আরও বিভিন্ন নিত্যদিনের প্রোডাক্টস। এটাকে আমরা এমন প্রোগ্রাম বলতে পারি, যা দিয়ে পরোক্ষ মাধ্যমে ইন্টারনেটে বাজার পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন ইন্টারনেট মার্কেটিংকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে উন্মুক্ত করে দিয়েছে অনলাইনে আয়ের বিশাল এক সম্ভাবনাকে।
ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য
বিশ্বে ১৯৯০ সালের দিকে সর্বপ্রথম ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন প্রোগ্রাম চালু হয়। এখানে অ্যাফিলিয়েশন প্রোগ্রামগুলোতে কোনো একটি কোম্পানি তার পণ্যের বিজ্ঞাপন লিংক বা ব্যানার আকারে অন্য একটি ওয়েবসাইটে অ্যাড হিসেবে দিয়ে থাকে। এই ব্যানার অ্যাডের মাধ্যমে ওই কোম্পানির পণ্যের যে পরিমাণ বিক্রি হয়, তার ভিত্তিতে কোম্পানি ওই ওয়েবসাইটকে তাদের নির্দিষ্ট হারে কমিশন দিয়ে থাকে। কিন্তু এই কমিশন অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশেরও বেশি হয়, যা আসলে খুবই ভালো একটা আয় হয়ে দাঁড়ায়। এটির মাধ্যমে অনেকে প্রতি মাসে এক লাখ টাকা থেকে আমার দেখা সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকাও আয় করছেন। প্রযুক্তি ও মার্কেট নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ফরেস্টার রিসার্চের মতে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর অনলাইন মার্কেটিং পদ্ধতি। তবে এটাও মানতে হবে যে, এখানে হিউজ আয়ের একটা সম্ভাবনা রয়েছে। অ্যাফিলিয়েশন বর্তমান সময়ে অনলাইন আয়ে বড় একটা পথ উন্মোচন করছে।
এখানে কিছু অ্যাফিলিয়েট সাইট আছে, যেখান থেকে আপনি তাদের অ্যাফিলিয়েট মেম্বার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। আসুন দেখে নিই সাইটগুলো—
www.amazan.com, www.marketbay.com
www.clickbank.com, www.linkshare.com
www.plimus.com, www.sellhealth.com
আপনাকে এই পদ্ধতিতে আয় করতে হলে SEO, internet marketing ভালোভাবে জানতে হবে। আপনি যেই প্রোডাক্টসের অ্যঅফিলিয়েশন করছেন, কেউ যদি সেই প্রোডাক্টস গুগলে সার্চ দেয় এবং তখন যদি আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ফলাফলে আগে দেখা যায়, তাহলে আপনার কাছ থেকে সেই প্রোডাক্টস বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। আর পণ্য বিক্রি হলে কমিশন পাবেন। সুতরাং বেশি বেশি পণ্য বিক্রি করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটকে ঝঊঙ-এর মাধ্যমে গুগলের সার্চ ফলাফলের ওপরের দিকে আনতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং ধারাবাহিক(পর্ব ৩)

আমার দেশ বিজ্ঞান ও কম্পিউটারপাতায় নিয়মিত ভাবে ছাপা হচ্ছেঅনলাইন আয়ের ১০০টি টিপস শীর্ষক টিউটোরিয়াল পর্বএসব বিষয়ে নিয়মিত লিখবেন আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে সফল ফ্রিল্যান্সার, বিভিন্ন কর্মশালা
আগ্রহী যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান, চোখ রাখুন প্রতি মঙ্গলবার
অনলাইনে আয়ের ১০০ উপায়
(পর্ব ৩)
গুগল থেকে আয় করুন সারাজীবন
গুগলের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে সারা বিশ্ব থেকে হাজার-হাজার প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা বিক্রি করার জন্য গুগল অ্যাডওয়ার্ডসের মাধ্যমে অনেক অর্থের বিনিময়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেএই বিজ্ঞাপনগুলোকে মানুষের খুব কাছে পাঠানোর জন্য গুগল যে পদ্ধতি অবলম্বন করে, সেই প্রোগ্রামের নামই হলো গুগল অ্যাডসেন্সঅ্যাডসেন্সের মাধ্যমে গুগল বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগসাইট, ফোরাম, কমিউনিটি ইত্যাদি সাইটের মালিকদের অর্থ আয় করার সুযোগ করে দেয় কিছু সহজ শর্তের মাধ্যমে
অ্যাডসেন্স হলো অনলাইনে আয়ের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিঅ্যাডসেন্স হলো গুগলের একটি অ্যাডভার্টাইজিং প্রোগ্রামগুগল অ্যাডসেন্স যদিও বহুদিন আগে থেকেই সারা বিশ্বে একটি নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উপার্জনের পদ্ধতি হিসাবে স্বীকৃত, কিন্তু বাংলাদেশে বিষয়টি অনেকের কাছেই নতুন
অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে যে কোনো ধরনের ওয়েবসাইটের থেকে উপার্জন সম্ভবশর্ত হচ্ছে, সেই সাইটকে জনপ্রিয় করতে হবেসাইটে প্রচুর ভিজিটর ঢুকতে হবে, ভালো কনটেম্লটস থাকতে হবেভিজিটর একবার সাইটে প্রবেশ করে আবার প্রবেশ করার আগ্রহ থাকেএ ধরনের কনটেম্লটস প্রতিনিয়ত আপডেট রাখতে হবেসাইটে ভিজিটর প্রবেশ করানো এবং তাদের ধরে রাখতে পারলে ভিজিটরদের একটি অংশ স্বাভাবিকভাবেই গুগলের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেমনে রাখতে হবে, যত বেশি ভিজিটর আপনার সাইটে থাকবে তত আপনার উপার্জনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবেহিসাব করে দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ভিজিটর সাইটে প্রবেশ করলে গড়ে ১০ শতাংশ ভিজিটর গুগল প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেএতে গড়ে প্রতিদিন ১০ ডলার উপার্জন হবেঅর্থাত্ মাসে ৩০০ ডলার বা ২০ হাজার টাকা উপার্জন করা সম্ভব
তবে বেশি ইনকামের লোভে নিজেরা বসে বসে ক্লিক করলে নিজেরই সর্বনাশ হবেগুগল PTC, Add Click, MLM-এর মতো বাটপার কোম্পানি নয়Fake Click করলে গুগল তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবেযেহেতু সাইটের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল রেখে গুগল বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে, সেহেতু ভিজিটর যদি সাইটের contents দেখার পাশাপাশি গুগলের অ্যাডে ক্লিক করে, ওই বিজ্ঞাপনদাতার সাইটে স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করে (এক্ষেত্রে ভিজিটর কিন্তু ঋধশব ক্লিক করেনি, বরং তার নিজস্ব আগ্রহে ওই বিজ্ঞাপনদাতার সাইটে প্রবেশ করেছে) তবেই হবে সত্যিকারের ক্লিকএ ধরনের স্বাভাবিক ক্লিক করলেই আপনার উপার্জন হবেগুগল তার অ্যাডসেন্স প্রোগ্রামের জন্য এমন টেকনোলজি ব্যবহার করেছে যে, কেউ Fake ক্লিক করলে তা ধরে ফেলতে সক্ষমঅতএব এ ধরনের অসাধু চিন্তা মাথা থেকে ঝেরে ফেলতে হবে
মনে রাখতে হবে, অ্যাডসেন্স একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসাএর পুঁজি হচ্ছে, আপনার ব্লগিং পরিকল্পনা ও সঠিকভাবে তার ব্যবহারগুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট পেতে হলে আপনার একটি ইমেইল, ওয়েবসাইট/ব্লগ থাকতে হবেতারপর আপনাকে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট করতে হবেগুগল আপনার সাইট দেখে পছন্দ হলে আপনাকে গ্রহণ করবেতাই আপনাকে খুব সুন্দর ও তথ্যবহুল সাইট করে রিকোয়েস্ট করতে হবেপরিশ্রম করে একটা ভালো মানের ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারলে, পর্যাপ্ত ভিজিটর সাইটে প্রবেশ করাতে পারলে, মাসে হাজার ডলার উপার্জন করা সম্ভবএটা কল্পনা নয়, বাস্তব
যারা অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদি উপার্জন করতে চান তাদের জন্য নিচে কিছু গাইডলাইন প্রদত্ত হলো
১. যে ধরনের ব্লগিং সাইট করতে চান, তা ভেবেচিন্তে নির্বাচন করুন, অর্থাত্ যেসব সাইটে ভিজিটর বেশি প্রবেশ করে সে ধরনের সাইট তৈরি করুন
২. সাধারণত শিক্ষামূলক (কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয়সহ অন্যান্য শিক্ষা), সাধারণ জ্ঞান, খেলাধুলা, স্বাস্থ্যসম্পর্কিত, ফিটনেস টিপস্, ইত্যাদি বিষয়ের সাইটে ভিজিটর বেশি হয়ে থাকেএ ধরনের ভালো মানের সাইটকে ফলো করে আপনিও অনুরূপ ব্লগিং সাইট তৈরি করতে পারেন
৩. প্রথমেই টাকা উপার্জনের চিন্তা মাথায় না এনে যথেষ্ট সময় নিয়ে সাইটকে সমৃদ্ধ করতে চেষ্টা করুন
৪. কখনোই কোনো সাইটের উপাদান কপি করে আপনার সাইটে পোস্ট করবেন নাঅবশ্য ভালো কোন ব্লগিং সাইটকে অনুকরণ করে নুতন আর্টিকেল, টিউটোরিয়াল, টিপস্ ইত্যাদি পোস্ট করতে পারেন
৫. সাইট পরিপূর্ণভাবে তৈরি হলে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য মনোযোগী হনএক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইওর প্রাথমিক বিষয়গুলো প্রয়োগ করুন। (ব্যাকলিংক তৈরি, ফোরামে পোস্ট, বুকমার্কিং ইত্যাদি)
৬. সবশেষে অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করুন
৭. বাংলা ব্লগে খুব সহজে অ্যাডসেন্স সুবিধা পাবেন না, সেক্ষেত্রে ইংরেজি হলে ভালো হবে
অ্যাডসেন্স করতে www.google.com/adsense এখানে যাবেন
www.seotrainingbd.com

ও প্রশিক্ষণ পরিচালনাকারী ও ব্লগার- মো: ইকরাম