বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। কিন্তু
আমাদেরকে ইংরেজীসহ বিভিন্ন ভাষা শিখতে হয় নানান কারণে।যতদিন হায়াত পাই ভাষা শিক্ষার বিষয়ে একটি কৌশল নিয়ে এগিয়ে
যাচ্ছি। কাজও দিচ্ছে ভালই। কৌশলটি
আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।সকল ভাষাই আল্লাহ প্রদত্ত। সকল
ভাষার মধ্যেই একটি মধুর মিল রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামারে। সকল
ভাষার মূল গ্রামার পবিত্র কোরআন এবং কোরআনে যত শব্দ আছে তা পৃথিবীর সকল
শব্দের মূল শব্দ। তাই আমি প্রথমে
মাতৃভাষায় কোরআনটা বুঝার চেষ্ঠা করছি। এরপর
ইংরেজী,
আরবী ইত্যাদি
ইত্যাদি ভাষায় অগ্রসর হচ্ছি।এইজন্য সহযোগিতা নিচ্ছি
ওয়েবসাইটগুলোর। গুগুলে কোরআনডটকম সার্চ করলে অনেক সাইট পাওয়া যায়। এখানে
বেশ কিছু সাইটে ভয়েস সংযুক্ত রয়েছে। খুবই মজার বিষয়।আরবীটা দেখা যাচ্ছে
সাথে সাথে ভয়েসটাও শুনতে পারলেন। এরপর ইংরেজীটা দেখতে দেখতে নতুন নুতন শব্দগুলো নোট করে রাখেন। খুবই
সহজ হয়ে যাবে তখন।বিশ্বের যেকোন ভাষা
শেখার জন্য এটি একটি কৌশল। তবে এইজন্য যেভাষাটা শিখতে চান প্রথমে ওই ভাষার বর্ণগুলো গুগুলে
সার্চ দিয়ে শিখে নিতে হবে।
Sunday, January 19, 2014
ভাষা শিক্ষার বিষয়ে একটি কৌশল
Friday, January 17, 2014
জনপ্রিয় দশটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম(ছোট এবং মাঝারি আকারের ব্লগ সাইটের জন্যে)
1. লিঙ্ক শেয়ার: http://www.linkshare.com/advertisers/affiliate/
2. কমিশন জংশন: http://www.cj.com/
3. শেয়ার এ সেল: http://www.shareasale.com/
4. অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েট: https://affiliate-program.amazon.com
5. গুগল অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক: http://www.google.com/ads/affiliatenetwork/
6. ক্লিক্সগ্যালোরি: http://www.clixgalore.com/
7. পিয়ারফ্লাই: https://peerfly.com/
8. ক্লিক ব্যাংক: http://www.clickbank.com/
9. ম্যাক্স বাউন্টি: http://www.maxbounty.com/
10. নেভার ব্লু: http://www.neverblue.com/affiliates/benefits
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপরে দেয়া সাইট লিঙ্কেই পাবেন। ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দেয়ার অনুরোধ রইলো।
2. কমিশন জংশন: http://www.cj.com/
3. শেয়ার এ সেল: http://www.shareasale.com/
4. অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েট: https://affiliate-program.amazon.com
5. গুগল অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক: http://www.google.com/ads/affiliatenetwork/
6. ক্লিক্সগ্যালোরি: http://www.clixgalore.com/
7. পিয়ারফ্লাই: https://peerfly.com/
8. ক্লিক ব্যাংক: http://www.clickbank.com/
9. ম্যাক্স বাউন্টি: http://www.maxbounty.com/
10. নেভার ব্লু: http://www.neverblue.com/affiliates/benefits
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপরে দেয়া সাইট লিঙ্কেই পাবেন। ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দেয়ার অনুরোধ রইলো।
Tuesday, November 26, 2013
আপ টু ডেট থাকতে ২৭ টি এসইও বিষয়ক ওয়েবসাইট!
এসইও নিয়ে কাজ করছেন কিংবা শিখছেন!
দেখে নিন, আপ টু ডেট থাকতে যেই ওয়েবসাইট গুলো নিয়মিত ভিজিট করবেন।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্স মার্কেটেপ্লেসে যারা কাজ করেন তাঁদের প্রায় অনেকাংশই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও নিয়ে কাজ করেন। এছাড়াও ইদানিং অনেকেই তাঁদের নিজস্ব ওয়েব সাইট বা ব্লগের এসইও করা নিয়ে ভাবছেন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হচ্ছে নিত্য পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়া। প্রতি নিয়তই সার্চ ইঞ্জিন গুলো ইউজারকে ব্যাটার সার্চ রেজাল্ট দিতে এবং ম্যানুপুলেট করে সার্চের উপরের দিকে উঠে এসছে তাদের সায়েস্তা করতে নিয়মিত অ্যালগোরিদমে পরিবর্তন আনছে।
তাই এসইও নিয়ে যারা কাজ করে তাদেরকে নিয়মিত আপ টু ডেট থাকার প্রয়োজন হয়, তা না হলে পিছিয়ে পড়তে হবে রেস থেকে। আজ আমরা আমাদের এই পেজের মাধ্যমে ২৭ টি এসইও বিষয়ক ওয়েবসাইট শেয়ার করবো যেখান থেকে আপনারা এসইও’র আপডেট তথ্য পাবেন। আসুন তবে দেখে নেই ওয়েব সাইট গুলো...
1. http://searchengineland.com/
2. http://searchenginewatch.com/
3. http://www.seomoz.org/blog
4. http://www.seobook.com/
5. http://www.toprankblog.com/
6. http://www.seroundtable.com/
7. http://www.mattcutts.com/blog/
8. http://googleblog.blogspot.com/
9. http://googlewebmastercentral.blogspot.com/
10. http://www.seobythesea.com/
11. http://www.blogstorm.co.uk/
12. http://www.blindfiveyearold.com/
13. http://www.searchenginejournal.com/
14. http://www.portent.com/blog/
15. http://www.seobythesea.com/
16. http://www.davidnaylor.co.uk/
17. http://www.marketingpilgrim.com/
18. http://www.highervisibility.com/blog/
19. http://www.searchengineoptimizationjournal.com/
20. http://blog.traffick.com/
21. http://www.ninebyblue.com/
22. http://www.stonetemple.com/
23. http://www.seowizz.net/
24. http://www.pronetadvertising.com/
25. http://www.seochat.com/
26. http://www.searchengineguide.com/
27. http://www.seoblackhat.com/
আশা করি নিয়মিত ভিজিট করবেন সাইট গুলোতে। ভালো লাগলে লিখাটি শেয়ার করে দিতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
How to Get Your Website Indexed in GOOGLE Within 24 Hrs?
How to Get Your Website Indexed in GOOGLE Within 24 Hrs?
Here Are The Magics!!!
1. Submit your site URL to Google: https://www.google.com/webmasters/tools/submit-url
2. Use Feedburner. Its a Google Product and your new Blog will be notified if you use it: http://feedburner.google.com/
3. Create Pages in Google+, Twitter & Facebook and share your Website URL there.
4. Create a XML Sitemap and Submit it to Google via Google Webmasters Tool
Thats it! You are DONE!!!
Thursday, September 26, 2013
ফ্রিল্যান্সার রা নিজের সাথে যে ৬ টি মিথ্যাচার করে
নি:সন্দেহ বলা যায়, ফিল্যান্সিং করা কোন সহজ কাজ নয়। ক্লায়েন্ট খোঁজা, সময়মত কাজ সাবমিট করা, কাজ অনুপাতে স্কিল অর্জন, টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা সব মিলিয়ে রাস্তাটি একদম সহজ নয়। বরং বেশ ঝামলোপূর্ণই বলা চলে। একটা বড় বাধা ফ্রিল্যান্সাররা নিজেরাই তৈরি করে। এর উৎপত্তি নিজের সাথে নিজের মিথ্যাচার কিংবা যুক্তিবাদী মন নিজেকে মিথ্যা তথ্য বা ধারণা দেয়া থেকে। বর্তমানে চলমান পরিস্থিতির সাথে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে ফ্রিল্যান্সারদেরকে এই সমস্যাটি থেকেও পরিত্রাণ পেতে হবে। এর সমাধান নিজের কাছেই। সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা না বরং কোন ফ্রিল্যান্সার যদি নানা অজুহাত তৈরি করে, তবে তার জন্য সমাধানের রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়গুলো ঠিক এইরকম যেন, একজন ফিল্যান্সার নিজের কাছ থেকে নিজেকে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করছে।
আসুন বিষয়গুলোর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক :
১. মার্কেটপ্লেসের ভাল অবস্থান তৈরি জরুরী নয় : এই ধরনের আন্ত:মিথ্যাচার (নিজের সাথে মিথ্যা বলা) ভবিষ্যতে একজন ফিল্যান্সারের আয়ের ক্ষেত্র কমিয়ে দিবে। একজন ফ্রিল্যন্সারের সব সময় উচিত মার্কেটপ্লেসে ভাল অবস্থান তৈরি করা। যদিও সে মার্কেটপ্রেস বা এর বাইরে থেকে প্রচুর কাজে ব্যস্ত থাকে। তবুও বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কাজ সংশ্লিষ্ট কোন ক্লায়েন্ট যদি যোগাযোগ করে; ব্যস্ততার কারণে তার কাজটি করে না দিতে পারলেও, তার সাথে একটি উত্তম রিলেশন বজায় রাখতে হবে।
২. মার্কেটপ্লেস থেকে উচ্চ বেতনে অনলাইন জব’ই উত্তম : অনেক ফ্রিল্যান্সার কিছুদিন মার্কেটপ্লেসে কাজ করার পর ফিক্সড সেলারির অনলাইন জবের দিকে ঢুকে পড়ে। এবং সে এটাকে নিরাপদ মনে করে। কিন্তু সে ভাল করেই জানে এই কাজটি করতে গেলে তাকে মার্কেটপ্লেস থেকে ছিটকে পড়তে হবে। তবুও সে নিজেকে বুঝায় যে, এই জবে বেশি টাকা পাওয়া যাবে বা আর্থিক নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে।
৩. ক্লায়েটকে বার-বার প্রশ্ন করলে সে বিরক্ত হবে : সফল ফ্রিল্যান্সার মানেই ক্লায়েন্টের সাথে উত্তম যোগাযোগ। অনেক ফিল্যান্সার মনে করে কাজ সম্পর্কে যদি ক্লায়েন্টকে বার বার প্রশ্ন করি তবে ক্লায়েন্ট বিরক্ত হবে। তাই সে ক্লায়েন্টকে কাজ সম্পর্কে বার বার প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকে। অর্ধেক ধারণা নিয়েই সে কাজে নেমে যায়। এতে কাজটি ক্লায়েন্টের চাহিদা মোতাবেক হবে না, এটাই অনিবার্য ! উল্লেখ্য যে, কাজ সম্পর্কে ক্লায়েন্ট বার বার প্রশ্নের উত্তর দিতে কোন দ্বিধা করবে না। কারণ সে কাজটি তার চাহিদা মোতাবেক হওয়ার স্বার্থে অর্থ ও সময় খরচ করতে রাজি।
৪. আমি তো বেশিরভাগ সময় তথ্যভিত্তিক ব্লগ পড়ে কাটাই : অনেক ফিল্যান্সার কাজের সিডিউল ঠিকমতো নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। অনলাইনে বিভিন্নভাবে সময় ব্যয় করে। মনে মনে নিজেকে সান্তনা দেয় যে, আমি তো বেশিরভাগ সময় তথ্যভিত্তিক ব্লগ পড়ে কাটাই। ইনফরমেটিভ বিষয়গুলো নিয়েই সমসময় থাকি। আদতে তার এই সময় কাটানোটা অনেক ক্ষেত্রে অনর্থক ওয়েবসার্ফিং পর্যায়ের।
৫. আমি দক্ষ তাই আপডেটেড হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই : আপনি যতই দক্ষ আর শিক্ষিত হোন না কেন, সময়ে সাথে আপডেট না থাকলে আপনি পিছিয়ে যাবে। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম নয়। আপনি যদি আপনার কাজ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের নিয়মিত আপডেটগুলোর সাথে পরিচিত না থাকেন, তবে খুব শীঘ্রই আপনি মার্কেটপ্লেস হারাবেন। প্রায়ই দক্ষ ফিল্যান্সারদেরকে তাদের মন এই অহমবোধে আচ্ছন্ন করে।
৬. অন্যের সাফল্যের রাস্তা আমারও কাজে দিবে : এই ব্যাপারটি বেশ ঘটে উঠতি ফিল্যান্সারদের ক্ষেত্রে। তারা অন্যদের সাফল্যের গল্প শুনে অনুপ্রাণিত হওয়ার পাশাপাশি হুবহু অনুসরণও করতে থাকে। তারা মনে করে ঠিক এভাবে যেতে পারলে আমিও সফল হবো। কিন্ত বাস্তবতা তা নয়। প্রত্যেকটি ফিল্যান্সারকে তার যোগ্যতা, দক্ষতা, পরিস্থিতি, শারীরিক-মানসিক অবস্থা বুঝে নিজস্ব স্বীকয়তায় স্বতন্ত্র গতিপথে চলতে হবে। অনেক সময় নিজের সেই যোগ্যতা নেই, এটা জানা সত্ত্বেও হুবহু অনুসরণ করে। যা অচিরেই ব্যর্থতায় রূপ নেয়।
ফিল্যান্সারা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করে। তাই এ ধরনের সমস্যা বা নিজস্ব ধারণা থেকে তৈরি ভ্রান্তিগুলো দূর করাও তাদের জন্য খুব একটা কঠিন কাজ নয়। দরকার শুধু সচেতনতা বাড়ানোর।
স্কোপ অফ ফ্রীল্যান্সিং
অনেকেই আমাকে ম্যাসেজে লিখেন ভাই আমি ফ্রীল্যান্সিং বা আউট সোর্সিং করতে চাই,
আমি বলি আপনার কি কি স্কিল আছে? তারা বলে ভাই আমার কোন স্কিল নাই। আমি বলি আগে স্কিলড হোন এর পর এই মার্কেটে আসুন তার আগে না। অবাক করা বিষয় হলো, তারা আমাকে ফের কোয়েশ্চেন করে ভাই আসলে কি কি বিষয়ে স্কিল অর্জন করা যায় আমাকে বলুন। মানে তারা জানেই না আসলে কোন বিষয়ে স্কিল্ড হতে হবে মানে তাদের ধারনাই নাই যে কি কি বিষয়ে ফ্রীল্যান্সিং করা যায়। যাক এইটা তাদের দোশ না। তারা হয়তো বর্তমানের উদয়ীমান এই শিল্পর জয় জয়কার দেখে এই পেশায় আস্তে চাচ্ছে বাট তেমন কোন নলেজ নাই আসলে এইটা কি? অনেকটা আমি যখন ফার্মাসি পড়তে শুরু করেছিলাম তখন জানতাম না আসলে ফার্মাসি সাব্জেক্ট টা পড়ে কি হবে। স্টেট ইউনিভার্সিটির সাইফুল ইসলাম পাঠান স্যার ইন্টুডাক্টশন অফ ফার্মাসি বিষয় টা নিতেন তিনি একজন বস মানুশ। সে সেকেন্ট ক্লাসেই ক্লাস নিয়েছিলেন স্কোপ অফ ফার্মাসি। সেখান থেকে জানতে পেরেছিলাম আসলে ফার্মাসি পড়ে আমারা কি হব কোথায় আমাদের জব। তার সেই ক্লাস টা অনেক ভালো লেগেছিলো। এর পর আমি বুঝতে পারি যে সব সাব্জেক্ট এই স্কোপ অফ সেই সাব্জেক্ট এর একটা ক্লাস থাকা দরকার। যায় হোক আজকে ফ্রীল্যান্সিং এর স্কোপ নিয়ে আলোচনা করবো।
আসলে আপনি ফ্রীল্যান্সিং এর কোন সেক্টরে কাজ করলে আপনি বেশি টাকা ইঙ্কাম করতে পারবেন সেটার থেকে ইম্পোটেন্ট হল আপনি কোন বিষয় এ কাজ করে মজা পান। কোন বিষয় কাজ আপনার ভালো লাগে। কোন বিশয়ের কাজ আপনি উপভোগ করেন। আমি আগের পোস্ট এ লিখেছিলাম যে আমি স্কাইপে এক আমেরিকান কে ক্যাল্কুলাস শিখিয়ে ৫০০ডালার করে ইঙ্কাম করেছিলাম। মানে ফ্রীল্যাসিং টিউশনি। আপনি এমন অনেক বিষয় পাবেন যেখানে ক্লাইন্ট এর সাথে জাস্ট চ্যাট করবেন। ভয়েস বা টেস্ক চ্যাট। আমেরিকা , ইউরোপে অনেকেই আছে একা মানুশ আর সেখানে কেউ তাকে টাইম দিয়ে তার সাথে সুখ দুঃখের কথা বলবে সেইরকম মানুশ নাই। কারন টাইম ইম্পোটেন্ট তাই তারা টাকা দিয়ে কারো সাথে চ্যাট করতে চায়। এইরকম কাজো দেখেছি অনেক। এইতো গত ৩ সপ্তাহ আগে দেখলাম একজন এইরকম কাজ পোস্ট অরেছে। এক ফিলিপাইনের মেয়ে বিড করে কাজ টা জিতে নিল আর। যাক এই টাইপের কাজ খুব কম থাকে। সচারচর যেই টাইপের কাজ থাকে সেগুলা আমি দিয়ে দিচ্ছি। আপনাদের যেটা ভালো লাগে সেই দিকে মনযোগ দিতে পারেন। আর সেই দিকে স্কিল্ড হতে পারেন।
আমার এই লেখাটা আপনার যদি ভালো না লাগে তাহলে আপনি নিজেই পরখ করে নিতে পারেন আপনার পেশা টা। বিভিন্ন ফ্রীল্যান্সিং সাইট যেমন ওডেস্ক, ফ্রীল্যান্সার , ইল্যান্স, গুরু, পিপল পার আওয়ার সাইট গুলাতে কাজের ক্যাটাগোরি গুলা দেখতে পারেন আর সেখানে যে কোন জব পোস্ট দেখতে পারেন। ক্লাইন্ট কি চাচ্ছে আর যারা বিড করতেছে তাদের প্রফাইল একটু দেখে নিতে পারেন তারা কি কি বিষয়ে স্কিল্ড। এই ভাবেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন আপনি আসলে কি কি কাজ পছন্দ করেন। আর কি কি কাজ আপনার জন্য ফিট। এর পরেও আমি নিজে কিছু ক্যাটাগোরি দিয়ে দিচ্ছি,
আপনি ফ্রীল্যান্সিং এ নিজেই কিছু করতে পারেন বা ক্লাইন্ট এর কাজ করতে পারেন। যেমন,
অ্যাড সেন্স , অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, অথবা নিজের কোন প্রডাক্ট যেমন টেমপ্লেট বানিয়ে বিক্রি এইগুলো করতে পারেন। এইটাতে আপনার কোন ডেড লাইন থাকে না বা আপনাকে বিড করতে হবে না। আপনি স্বাধীন ব্যাবসায়ীর মত কাজ করে মাসে অনেক টাকা ইঙ্কাম করতে পারেন। আমি এক ছেলেকে চিনি যে কুত্তার খাবার বিক্রির এক সাইটের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটীং করে মাসে প্রায় ৫ হাজার ডলার ইঙ্কাম করতেছে। অথাচ সে ইতিহাসের স্টুডেন্ট তাও আবার ন্যাশন্যাল ভার্সিটির। মানে সে পাশ করে বের হলে তার ৮ হাজার টাকার একটা জবে অ্যাপ্লাই করলে তার সিভিই অনেক সময় কেউ দেখবে না। বাট সে এখুনি ৫ হাজার ডলার মানে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ইঙ্কাম করতেছে। এছাড়া আপনি যদি বিড করে সরা সরি ক্লাইন্টের কাজ করতে চান তাহলে তো ফ্রীল্যান্সিন সাইট গুলো তো আছেই। এবার চলুন দেখে আসি কি কি বিষয়ে আপনি কাজ করতে পারেন।
ওয়েব ডিজাইন , আইটি এবং সফটওয়্যার ঃ ফ্রীল্যান্সিং এ এইটাই সব চাইতে বড় ক্যাটাগরি। এইখানে আপনি ওয়েব ডিজাইন রিলেটেড সব কাজ পাবেন। এছাড়া আইটি বা সফটওয়্যার ডেভ্লপমেন্ট এর সব কিছু পাবেন। আর ডিজাইন এর জন্য ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, শিখে নিতে পারেন। এছাড়া HTML+CSS=JS শিখে নিতে পারেন ইউ আই ডিজাইন এর জন্য। এছাড়া প্রগ্রামিং এর জন্য বরতমানে সবচাইতে জনপ্রিয়ো হল PHP+MySQL এইটা ভালো মত শিখে নিতে পারেন। তবে জেন্ড পরিক্ষা দিয়ে দিলে তো কথায় নাই। এছাড়া অনেকে আমাকে বলে ভাই ওয়ার্ডপ্রেশ এর অনেক কাজ শুনেছি এইটা শিখতে হলে কি করতে হবে। আসলে ওয়ার্ডপ্রেস হল html+css+js+php+mysql এর সমন্বয়ে একটা সি এম এস। সো এইটার থিম বা প্লাগিন ডেভ্লপমেন্ট করতে হলে আপনাকে এই সব গুলাই মোটামোটি জানতে হবে। এছাড়া আপনি ASP.NET, MSSQL শিখতে পারেন। এছাড়া অ্যান্ড্রোয়েড ডেভলপমেন্ট এর জন্য শিখতে পারেন জাভা ও অ্যান্ড্রোয়েড আর আই ফোন ডেভলপমেন্টের জন্য শিখতে পারেন অব্জেক্টটিভ সি। এছাড়া ইউন্ডোজ ফোন বা ইউন্ডোজ প্লটফরম এর ডেভলপ মেন্ট এর জন্য শিখতে পারেন সি সার্প।
মোবাইল অ্যাপঃ এক্টূ আগে লিখেছি মোবাইল অ্যাপ গুলোর জন্য কি কি শিখতে পারেন। আসলে এখন মোবাইল মার্কেটে অ্যান্ড্রোয়েড এর রাজত্ত বেশ এছাড়া আইফোন , ইউন্ডোজ ফোন, ব্ল্যাকবেরি ফোন এর অ্যাপ ডেভ্লপ মেন্ট করতে পারেন।
রাইটিংঃ আমি মনে করি আপনার লেখা লেখির ঝোক একটু বেশি থাকলে এইটা বেছে নিতে পারেন। প্রচুর টাকা ইঙ্কাম করতে পারবেন। আমি দেখেছি ১০০ ওয়ার্ড এর একটা আর্টিকেল দেড় ডলারে বিক্রি করা হয়। আর আমি জামান ভাই নামের এক এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বি বি এ পড়া এক ভাই কে চিনি যে ডেইলি ৫০ টা আর্টিকেল লিখতো। আর তার মাথায় অটোমেটিক লেখা চলে আস্তো। আপনি রাইটিং একবার শুরু করলে এক মাস পরে দেখবেন যে লেখার মত কিছুই নাই। প্রথম মাস একটু কস্ট হয়ে এর পরে অটোমেটিক কি বোর্ড চলে। যায় হোক এই লাইনে প্রচুর কাজ আছে।
এর পর ডিজাইন, মিডিয়া , আক্রিটেকচারঃ আমার ক্লাইন্ট দের কাছে শুনি তারা নাকি ডিজাইন খুজে পায় না। ডিজাইনার এর প্রচুর অভাব। আসলেই তাই। ভালো ডিজাইনার এর প্রচুর অভাব। মাঝে মাঝে মনে হয় আমাদের চারুকলা থেকে বের হয়ে অনেকেই টাকার অভাবে পড়ে তারা যদি ফ্রীল্যান্সিং করতো আমি সিউর তারা মাসে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা ইঙ্কাম করতে পারতো। যায় হোক আপনার কালার সেন্স যদি ভালো থাকে তাহলে আপনি ডিজাইন এ চলে আসুন। এছাড়া ভিডিও এডিটীং , আক্রিটেকচার ডিজাইন ইত্যাদিতে প্রচুর কাজ আছে। মেইনলি লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, ফটো রিটাচিং, ওয়েব টেমপ্লেট ডিজাইন মাঝে মাঝে প্রডাক্ট ডিজাইন , ফ্লাইয়ার ডিজাইন, টিশার্ট ডিজাইন, প্যড ডিজাইন এর কাজ থাকে। একবার ফ্রীল্যান্সিং সাইট গুলাতে ঘুরে আসুন পেয়ে যাবেন। আপনার কাংখিত কাজ।
ডাটা এন্ট্রিঃ ডাটা এন্ট্রি তে মোটামোটি কাজ আছে। আগে বাংলাদেশে ডাটা এন্ট্রি মানেই ক্যাপচা ফিলআপ বুঝাতো এখন এই কন্সেপ্ট চেঞ্জ। এখন ডাটা এন্টির অনেক প্রকার ভেদ আছে যেমন ইকমার্স সাইটে প্রডাক্ট এন্ট্রি ইত্যাদি।
ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সায়েন্সঃ এই ক্যাটাগরিতে তে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সায়েন্স এর বিভিন্ন কাজ থাকে। যেমন হোম ডিজাইন, ডিজিটাল ডিজাইন, ডাটা মাইনিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। এইখানে কাজ মোটামোটি।
প্রডাক্ট সোর্সিং আন্ড ম্যানুফ্যাকচারিংঃ এইখানে বিভিন্ন বায়ার তার প্রডাক্ট এর ম্যানুফ্যাকচারিং এর জন্য বিভিন্ন ম্যানুফ্যাকচারার খুজে অথাবা সাপ্লাইয়ার খুজে। অনেক আগে এক বায়ার আমাকে বাংলাদেশের বাশের তৈরি হস্ত শিল্পের প্রডাক্ট চেয়েছিলো। বাট আমার পরিচিত ছিলোনা তাই দিতে পারি নাই।
সেলস এন্ড মার্কেটীংঃ এই সেক্টর বিশাল। মেইনলি অনলাইন শোপ গুলার প্রডাক্ট সেলস এন্ড মার্কেটিং করতে হয়। এছাড়া এস ই ও, এস এম এম, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং , ইবেই মার্কেটীং এর জন্য লোক হায়ার করে।
বিজনেস, অ্যাকাউন্টিং, হিউম্যান রিসোর্স এন্ড লিগালঃ এইটাও বিশাল এক ক্ষেত্র। অনেকেই অ্যাকাউন্টিং এর হিসাব নিকাশ এর জন্য ফ্রীল্যান্সার খুজে । এখানে প্রচুর কাজ আছে।
ট্রান্সসিলেশন ও ল্যাংগুয়েজঃ আমি নিজেই প্রায় ৪ থেকে ৫ টা ভাষায় কথা বলতে পারি। জার্মান, ইংরেজী, হিন্দি, বাংলা, অল্প রাশিয়ান আর এখন চাইনিজ এ ভর্তি হইছি । স্পানিশ আর ফ্রঞ্চ শিখার ইচ্ছা আছে । যায় হোক ট্রান্সসিলেশনে প্রচুর কাজ। শেশ করতে পারবেন না। যদি শখের বশত কোন ভাষা ভালো মত শিখে থাকেন তাহলে এই কাজ করতে পারবেন। আমি এই কাজ করতে পারি না কারন আমি শুধু কথা পারি লিখতে গেলে কলম ভেঙ্গে যায়। তাই করি না।
অন্যান্যঃ আসলে অন্যান্য অনেক ক্যাটাগরি আছে। যেমন ক্লাইণ্টের সাথে শুধু চ্যাট করবেন, ক্লাইণ্ট এর পড়ালেখায় হেল্প করবেন, থিসিস পেপার রেডি করে দিবেন, ল্যাব মেনুয়াল রেডি করে দিবেন। ক্লাস অ্যাাসাইমেন্ট রেডি করে দিবেন ইভেন রান্নার রেসিপি দিবেন।
এই হল মোটা মোটি ফ্রীল্যান্সিং এর ক্যাটাগোরি। সো আপনার কোনটা পছন্দ সেইটা ঠিক করে শুরু করে দিন পড়া লেখা আর স্কিল অর্জন। এর পর নেমে পরুন ডলার ইঙ্কামে তাও আবার আপনার ঘরে বসে থেকে। কোন হরতাল, ধরমঘাট, রাস্তা ভাংগা, রাস্তায় পানি জমে আছে , রিস্কা পাচ্ছেন না, বাস ভাড়া বাড়লো বা কমলো সেটাতে আপনার মাথা নস্ট হবে না। শুরু নস্ট হবে যখন ডলারের রেইট ৮৪ টাকা থেকে যখন ৭৭ টাকায় নেমে আসে। আমার যা হয়েছে। যখন ডলার ৮৪ টাকা করে ছিলো আমার বাড়ি ভাড়া যা ছিলো এখন ৭৭ টাকা করে আমার বাড়ি ভাড়া ২ হাজার টাকা বেশি। এক দিক দিয়ে ডলারে টাকা কম পায় অন্য দিক দিয়ে বাড়ি ভাড়া বেশি। যাক এক্টূ মজা করলাম।
আপনাদের ফ্রীল্যান্সিং জীবন ভালো কাটুক এই কামনায়। বিদায়। আমার জন্য দোয়া করবেন ।
Subscribe to:
Posts (Atom)