সুপ্রিয় পাঠক, আপনার কি সেই কালী প্রসন্ন ঘোষের কথা মানে আছে? কি, ধরতে
পারেন নাই? কবি কালী প্রসন্ন ঘোষ। তাঁর সেই অসাধারন শিশুতোষ কবিতা
“পারিবনা” আমাদের ছেলেবেলায় পাঠ্য ছিল। অসামান্য সে কবিতা। কবিতাটির প্রতি
ছত্রে ছত্রে সফলতার গোপন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে।
“পারিবনা একথাটি বলিও না আর
কেন পারিবেনা তাহা ভাব একবার।”
কবি পারিবনা কথাটি উচ্চারন করতে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। কবি বলেছেন, না পারার কিছু নাই। কবি মনে করেন আর দশজন মানুষের পক্ষে যা কিছু সম্ভব তা আপনার দ্বারাও সম্ভব।
বস্তুত: মানুষের অসাধ্য কিছু নেই। মানুষ অসাধ্যকে একমাত্র ইচ্ছা শক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই জয় করতে পারে।
নিজের প্রতি আত্ম বিশ্বাস না থাকলে মানুষ কোন কাজে সফল হতে পারে না।
নিজের প্রতি বিশ্বাস, দৃঢ় মনোবল ও কাজের প্রতি ভালবাসার মাধ্যমে মানুষ তার অভিষ্ট্য লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।
কোথায় যেন একবার পড়েছিলাম মানুষ সফলতার খুব কাছে এসে সবকিছু ছেড়ে দেয়।
না, সফলতার মুখ না দেখে কাজে কখনোই ইস্তফা দেবেন না। তীরে এসে তরীকে ডুবতে দেয়া নি:সন্দেহে বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
তাকিয়ে দেখুন বাংলাদেশের মেয়ে ওয়াসফিয়া নাজনীন সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করেছেন। প্রবল আগ্রহ না থাকলে তা কি আদৌ সম্ভব?
আসলে কোন প্রতিবন্ধকতাই প্রতিবন্ধকতা নয়। প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে মনে।
স্টিফেন হকিংয়ের কথা চিন্তা করুন। শারীরিক প্রতিবন্ধী। মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত। শুধুমাত্র মস্তিস্কটা সচল। সেই ব্যক্তি নিজের শরীরটা না নাড়াতে পারলেও সারা পৃথিবীটাকে ঠিকই কাঁপিয়ে দিচ্ছেন।
অতএব ইতিবাচক মন নিয়ে সুন্দরভাবে কাজ শুরু করুন। জানুনতো ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, “কোন কাজ সুন্দরভাবে শুরু করার মানে হচ্ছে ঐ কাজের অর্ধেকটা সুসম্পন্ন করে ফেলা”।
সবশেষে একটি বিরক্তিকর প্রবাদের উল্লেখ করব। প্রবাদটি হলো, “অসম্ভব” এমন একটি শব্দ যা কেবল আহাম্মকদের অভিধানেই পাওয়া যায়।
সুপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই আহাম্মক নন কিংবা স্টিফেন হকিংয়ের মত প্রতিবন্ধী।
-লোকমান হোসেন
“পারিবনা একথাটি বলিও না আর
কেন পারিবেনা তাহা ভাব একবার।”
কবি পারিবনা কথাটি উচ্চারন করতে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। কবি বলেছেন, না পারার কিছু নাই। কবি মনে করেন আর দশজন মানুষের পক্ষে যা কিছু সম্ভব তা আপনার দ্বারাও সম্ভব।
বস্তুত: মানুষের অসাধ্য কিছু নেই। মানুষ অসাধ্যকে একমাত্র ইচ্ছা শক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই জয় করতে পারে।
নিজের প্রতি আত্ম বিশ্বাস না থাকলে মানুষ কোন কাজে সফল হতে পারে না।
নিজের প্রতি বিশ্বাস, দৃঢ় মনোবল ও কাজের প্রতি ভালবাসার মাধ্যমে মানুষ তার অভিষ্ট্য লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।
কোথায় যেন একবার পড়েছিলাম মানুষ সফলতার খুব কাছে এসে সবকিছু ছেড়ে দেয়।
না, সফলতার মুখ না দেখে কাজে কখনোই ইস্তফা দেবেন না। তীরে এসে তরীকে ডুবতে দেয়া নি:সন্দেহে বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
তাকিয়ে দেখুন বাংলাদেশের মেয়ে ওয়াসফিয়া নাজনীন সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করেছেন। প্রবল আগ্রহ না থাকলে তা কি আদৌ সম্ভব?
আসলে কোন প্রতিবন্ধকতাই প্রতিবন্ধকতা নয়। প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে মনে।
স্টিফেন হকিংয়ের কথা চিন্তা করুন। শারীরিক প্রতিবন্ধী। মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত। শুধুমাত্র মস্তিস্কটা সচল। সেই ব্যক্তি নিজের শরীরটা না নাড়াতে পারলেও সারা পৃথিবীটাকে ঠিকই কাঁপিয়ে দিচ্ছেন।
অতএব ইতিবাচক মন নিয়ে সুন্দরভাবে কাজ শুরু করুন। জানুনতো ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, “কোন কাজ সুন্দরভাবে শুরু করার মানে হচ্ছে ঐ কাজের অর্ধেকটা সুসম্পন্ন করে ফেলা”।
সবশেষে একটি বিরক্তিকর প্রবাদের উল্লেখ করব। প্রবাদটি হলো, “অসম্ভব” এমন একটি শব্দ যা কেবল আহাম্মকদের অভিধানেই পাওয়া যায়।
সুপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই আহাম্মক নন কিংবা স্টিফেন হকিংয়ের মত প্রতিবন্ধী।
-লোকমান হোসেন
No comments:
Post a Comment