অনেকেই আমাকে ম্যাসেজে লিখতেছেন , ভাই আমি কাজ জানি আমার পোর্টফোলিও আছে বাট বিড করে কাজ পায় না এর কারন কি?
জবাবঃ ভাই আমার ক্লাইন্ট অন্য কোন কাজের জন্য ফ্রীল্যান্সার খুজলে আমাকে হায়ার করতে বলে, তার ওডেস্ক ইউজার নেম ও পার্সোয়ার্ড আমার কাছে আছে। সো আমি জাক পোস্ট করি আবার আমিই হায়ার করি। আমি একটা জিনিস দেখছি কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক গুলো ফ্যাক্টর জরিত যেমন,
আপানার আগেকার কাজের রেটিংঃ আপনি যে কাজে বিড করেছেন সেই টাইপের কাজের কোন রেটিং আছে কি না? আপনি সেই কাজ ঠিক ঠাক মত ডেলিভারি দিয়েছেন কি না। আপনার ক্লাইন্ট ফিডব্যাক কেমন। ইত্যাদি
আপনার বিড করা কাজ রিলেটেড এক্সামঃ এইটা ভেরি ভেরি ইম্পোটেন্ট। অনেকে প্রথম ফ্রীল্যান্সিং এ আস্তেছে। তাদের তো ভালো কোন রেটিং নাই। তাদের জন্য এক্সাম এর রেজাল্ট অনেক ইম্পোটেন্ট।
আপনার আগেকার কাজের পোর্টফোলিওঃ এইটাও অনেক ইম্পোটেন্ট। আপনি আগে ওডেস্ক এ কাজ নাও করতে পারেন বাট আপনি আগে সেইম টাইপের কাজ করেন নাই তাহলে ওডেস্ক আপনার জন্য না। আপনি কোন সিনিয়র এর আন্ডারে বা আপনি নিজে ঘরে বসে কিছু কাজ করবেন আর সেগুলো লাইভ করবেন আর সেগুলো ক্লাইণ্ট কে দেখাবেন। যেমন ধরুন আপনি PSD থেকে wordpress এর কাজ এ বিড করেছেন বাট আপনার ওডেস্ক প্রফাইল নাই তখন কি করবেন, তখন বাসায় বসে বসে আপনি নিজে যে PSD to wordpress বানিয়েছেন তা প্রটফোলিও হিসাবে দেখাবেন। ক্লাইন্ট কে বলবেন যে আপনি এই কাজ আগে করেছেন। তার নমুনা দিবেন আপনার করা জা টি।
টাইমঃ ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে দেখা যায় ক্লাইন্ট কাজ পোস্ট করার পরে আধা ঘন্টার মদ্ধে হায়ার করে ফেলে। আর আপনি বিড করেছেন ১ ঘন্টা পরে সো বুঝতেছেন তো কাজ পোস্ট করার কতখন পরে বিড করবেন। পারলে সাথে সাথে।
দেশের ইমেজঃ কাজ পাবার জন্য অনেক সময় দেশী ইমেজ ইম্পোটেন্ট। আমার ক্লাইন্ট আমাকে অনেক পছন্দ করে তাই আগে তার কোন কাজে আগে বাংলাদশী কে সব সময় প্রায়োরিটি দিতো। বাট একটা ব্যানার ডিজাইনে ডেফোডিল ভার্সিটির এক ছেলেকে কাজ টা দিয়েছিলো বাট ৩ দিন পরে সেই ছেলেটি বিভিন্ন অজুহাতে বলেছিলো আমি কাজ টা করতে পারি নাই। আমাকে মাফ করে দাও। এইরকম কিছু উজবুক বেকুবের জন্য দেশের ইমেজ নস্ট হয়ে যায় এর পর ক্লাইন্ট রা দেশের পতাকা বাহি কোন ফ্রীল্যান্সার দেখলে এরিয়ে যায়। আমার ক্লাইন্ট সেই বার অনেক খেপছিলো ছেলেটার প্রতি আর আমাকে বলেছে কোন বাংলাদেশি যাতে না হায়ার করি। এর পর এক ফিলিপাইনের ছেলেকে দিয়ে কাজটা ৩ ঘণ্টায় করিয়ে নিয়েছিলো। এর পর সে ফিলিপাইনের ফ্রীল্যান্সার দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়। সেখানে বাংলাদেশী ভালো কোন ফ্রীল্যান্সার বিড করলেও সেই বিড পরেই না। এছাড়া অনেক ক্লাইন্ট বলেই দেয় বাংলাদেশ, ইন্ডিয়ান কেউ বিড করবেন না।
আপনার ইংরেজী/ কমিউনিকেইশন স্কিলঃ এইটা খুবই ইম্পোটেন্ট। আপনার ইংরেজীর স্কিল কেমন বা শুধু ইংরেজী লিখে ফাটায়া ফালান বাট বলতে বললে কিচ্ছু বলতে পারেন না। এইটা হবে না। ইংরেজীর কমিউনিকেইশন স্কিল ইম্পোটেন্ট। ক্লাইন্ট আপনাকে কি বলতেছে তা আপনাকে ভালো ভাবে বুঝতে হবে। এইটা ইম্পোটেন্ট।
বিডঃ অনেকের বিড পরে ক্লাইন্ট বিরক্ত হয়। শুধু উলটা পালটা ইনফরমেইশনে ভরা। বিশাল বিড। আসলে ক্লাইন্ট আপনার বিশাল বিড পরার জন্য বসে থাকে না। তাকে একই সময়ে কয়েটা ফ্রীল্যান্সার এর বিড পরতে হয়। সো বিডে সিম্পল থাকবেন, যেমন,
ক্লাইন্ট কে গ্রিটিংস দিবেন এর পর আপনার সেন্টেন্স দিয়ে বুঝাবেন যে আপনি পুরো পোস্ট টা পরেছেন, এর পর তাকে বলবেন এই কাজটা আপনি পারবেন তার প্রমান স্বরূপ বলবেন আগে এই কাজ এর মত কিছু কাজ করেছেন আর প্রররটফোলিও দিবেন। এর পর তাকে বলবেন কাজ এর টাইম এর মদ্ধেই কাজ ডেলিভারি দিবেন এছাড়া তাকে বলবেন কাজ চলাকালীন সময় তার সাথে কমিউনিকেইশন রাখবেন বা স্টেপ বাই স্টেপ আপডেট দিবেন।
এই কয়েকটা জিনিস মেনে চললে দেখেন ৫ টা বিড করলে ১ টা কাজ পাবেনই । কোন মিস নাই।
No comments:
Post a Comment