Thursday, July 18, 2013

যারা ফ্রীল্যান্সিং এ আগ্রহী অথবা যাদের কোন কাজের অভিজ্ঞতা নেই কিন্তু মার্কেট প্লেসে কাজ করতে চায় !


এই ধরণের কথাগুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া উচিত, বিশেষ করে তাদের মাঝে যারা  ফ্রীল্যান্সিং এ আগ্রহী অথবা যাদের কোন কাজের অভিজ্ঞতা নে কিন্তু মার্কেট প্লেসে কাজ করতে চায় !

অনলাইনে আয়ঃ
অনলাইনে আয় এর কথা আমি প্রথম শুনি ১৯৯৬ সালেতখন আমার বাসায় আমার এক ফুফাতো ভাই এসেছিলোসে জাপান থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ালেখা করেছিলোআমি তখন ক্লাস ফোর এ পড়তামসে আমাকে বলেছিলো সে বাংলাদেশে বসে সে জাপানের কিছু কোম্পানির গেম / সফটওয়্যার বানাবেসে বলেছিলো ইন্ডিয়া বলে অনেক এগিয়ে গিয়েছেইন্ডিয়া তখন আমেরিকার সফটওয়্যার বানায়সে বাংলাদেশে শুরু করতে চায়যাক ১৯৯৮ সালে কমান্ডো গেইম টা তখন অনেক বেশি ফেভারেট ছিলো সাবার মাঝেসে কমান্ডো গেইম টার উপর ভিত্তি করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের উপর একটা গেইম বানালোবাট সেই সময় কমান্ডো গেইম এর ফ্লোপি / সিডি মানুশ ২০০ টাকা করে কিনলেও মুক্তিযুদ্ধের গেইম ১৫০ টাকায় কেউ কিনে নায়সে একটা বিশাল ফ্লপ খাইলো এর পর হতাস হয়ে আবার বিদেশে চলে গেলোএর পর ২০০৩ এর দিকে আবার ফিরে এসে কলাবাগানে একটা সফটওয়্যার ফার্ম দেয়এর পর আস্তে আস্তে করে উপরে উঠতে থাকেআসলে এইরকম কিছু প্রবাশি বাংলীই বাংলাদেশ এর সফটওয়্যার ফার্ম নন্সেপ্ট এর উদ্ভাবকএরাই বাংলাদেশ কে কম্পিউটার প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বিদেশ থেকে আর্ন করার প্রথিক্রিতযায় হোকওডেস্ক, ফ্রীল্যান্সার, ইল্যান্স আসার আগে এরাই ছিলো ভরসাএখন এই শিল্প মিলয়ন ডলারের শিল্প

যারা অনলাইনে আর্ন করতে চান তাদের কে কিছু তথ্য দেওয়ার জন্য আমার এই পোস্ট

আমাকে প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন ফেইসবুকে ম্যাসেজে ম্যাসেজ দেয় ভাই আমি অনলাইনে আস্তে চাই বা ফ্রীল্যান্সিং করতে চাই কিভাবে শুরু করবোআমি বলি আপনার স্কিল কি? তারা বলে কোন স্কিল নাইএর পর আমি বলি আগে স্কিল্ড হোন তার পরে আপনাকে বল্বো কি ভাবে আর্ন করতে হয়
যায় হোক, আউটসোর্সিং মার্কেট প্লেস বিশাল এক জিনিসলাইভ আউটসোর্স এর সি টি ও জাদিদ ভাই আমাকে একবার বলেছিলো বাংলাদেশ এর সব মানুশ কে এই পেশায় আনলেও এই মার্কেটে ওয়ার্কার এর চাহিদা থেকেই যাবেআসলে অনেকে মনে করে এই মার্কেট এ শুধু ওয়েব ডিজাইন বা প্রগ্রামিং এর কাজ করেঅন্য কোন কাজ নাইএইটা টোটালি ভুল ধারনাবরং আমি মনে করি টোটাল কাজের তুলনায় ওয়েব ডিজাইন এর কাজ অতি সামান্যইভেন আমি অনে কাজ দেখেছি যে বায়ার চায় তাকে ম্যথ পড়াতে হবে এই জন্য মাসে ৫০০ ডলার দিতে হবেআমি নিজে অনেক টিউশনি করিয়েছি এক সময় তখনকার জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আমি বিড করেছিলামসিমপ্ল ক্যলাকুলাস করিয়ে মাসে ৫০০ডলার ইঙ্কাম করেছিস্কাইপে আমি টিচ দিতামএছাড়া এখন কাজের পরিধি অনেকতবে রেট আগের তুলনায় একটু কম পাওয়া যায়তবে আপনি যদি একটু স্কিল থাকেন তাহলে অনেক বেশি ইঙ্কাম করতে পারবেন

আমি কাজ জানি আমার পোর্টফোলিও আছে কিন্তু বিড করে কাজ পাই না, এর কারন কি?


অনেকেই আমাকে ম্যাসেজে লিখতেছেন , ভাই আমি কাজ জানি আমার পোর্টফোলিও আছে বাট বিড করে কাজ পায় না এর কারন কি?
জবাবঃ ভাই আমার ক্লাইন্ট অন্য কোন কাজের জন্য ফ্রীল্যান্সার খুজলে আমাকে হায়ার করতে বলে, তার ওডেস্ক ইউজার নেম ও পার্সোয়ার্ড আমার কাছে আছেসো আমি জাক পোস্ট করি আবার আমিই হায়ার করিআমি একটা জিনিস দেখছি কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক গুলো ফ্যাক্টর জরিত যেমন,

আপানার আগেকার কাজের রেটিংঃ আপনি যে কাজে বিড করেছেন সেই টাইপের কাজের কোন রেটিং আছে কি না? আপনি সেই কাজ ঠিক ঠাক মত ডেলিভারি দিয়েছেন কি নাআপনার ক্লাইন্ট ফিডব্যাক কেমনইত্যাদি

আপনার বিড করা কাজ রিলেটেড এক্সামঃ এইটা ভেরি ভেরি ইম্পোটেন্টঅনেকে প্রথম ফ্রীল্যান্সিং এ আস্তেছেতাদের তো ভালো কোন রেটিং নাইতাদের জন্য এক্সাম এর রেজাল্ট অনেক ইম্পোটেন্ট

আপনার আগেকার কাজের পোর্টফোলিওঃ এইটাও অনেক ইম্পোটেন্টআপনি আগে ওডেস্ক এ কাজ নাও করতে পারেন বাট আপনি আগে সেইম টাইপের কাজ করেন নাই তাহলে ওডেস্ক আপনার জন্য নাআপনি কোন সিনিয়র এর আন্ডারে বা আপনি নিজে ঘরে বসে কিছু কাজ করবেন আর সেগুলো লাইভ করবেন আর সেগুলো ক্লাইণ্ট কে দেখাবেনযেমন ধরুন আপনি PSD থেকে wordpress এর কাজ এ বিড করেছেন বাট আপনার ওডেস্ক প্রফাইল নাই তখন কি করবেন, তখন বাসায় বসে বসে আপনি নিজে যে PSD to wordpress বানিয়েছেন তা প্রটফোলিও হিসাবে দেখাবেনক্লাইন্ট কে বলবেন যে আপনি এই কাজ আগে করেছেন তার নমুনা দিবেন আপনার করা জা টি

টাইমঃ ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে দেখা যায় ক্লাইন্ট কাজ পোস্ট করার পরে আধা ঘন্টার মদ্ধে হায়ার করে ফেলেআর আপনি বিড করেছেন ১ ঘন্টা পরে সো বুঝতেছেন তো কাজ পোস্ট করার কতখন পরে বিড করবেনপারলে সাথে সাথে

দেশের ইমেজঃ কাজ পাবার জন্য অনেক সময় দেশী ইমেজ ইম্পোটেন্টআমার ক্লাইন্ট আমাকে অনেক পছন্দ করে তাই আগে তার কোন কাজে আগে বাংলাদশী কে সব সময় প্রায়োরিটি দিতোবাট একটা ব্যানার ডিজাইনে ডেফোডিল ভার্সিটির এক ছেলেকে কাজ টা দিয়েছিলো বাট ৩ দিন পরে সেই ছেলেটি বিভিন্ন অজুহাতে বলেছিলো আমি কাজ টা করতে পারি নাইআমাকে মাফ করে দাও এইরকম কিছু উজবুক বেকুবের জন্য দেশের ইমেজ নস্ট হয়ে যায় এর পর ক্লাইন্ট রা দেশের পতাকা বাহি কোন ফ্রীল্যান্সার দেখলে এরিয়ে যায়আমার ক্লাইন্ট সেই বার অনেক খেপছিলো ছেলেটার প্রতি আর আমাকে বলেছে কোন বাংলাদেশি যাতে না হায়ার করিএর পর এক ফিলিপাইনের ছেলেকে দিয়ে কাজটা ৩ ঘণ্টায় করিয়ে নিয়েছিলোএর পর সে ফিলিপাইনের ফ্রীল্যান্সার দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়সেখানে বাংলাদেশী ভালো কোন ফ্রীল্যান্সার বিড করলেও সেই বিড পরেই নাএছাড়া অনেক ক্লাইন্ট বলেই দেয় বাংলাদেশ, ইন্ডিয়ান কেউ বিড করবেন না

আপনার ইংরেজী/ কমিউনিকেইশন স্কিলঃ এইটা খুবই ইম্পোটেন্টআপনার ইংরেজীর স্কিল কেমন বা শুধু ইংরেজী লিখে ফাটায়া ফালান বাট বলতে বললে কিচ্ছু বলতে পারেন নাএইটা হবে নাইংরেজীর কমিউনিকেইশন স্কিল ইম্পোটেন্টক্লাইন্ট আপনাকে কি বলতেছে তা আপনাকে ভালো ভাবে বুঝতে হবেএইটা ইম্পোটেন্ট

বিডঃ অনেকের বিড পরে ক্লাইন্ট বিরক্ত হয়শুধু উলটা পালটা ইনফরমেইশনে ভরাবিশাল বিডআসলে ক্লাইন্ট আপনার বিশাল বিড পরার জন্য বসে থাকে নাতাকে একই সময়ে কয়েটা ফ্রীল্যান্সার এর বিড পরতে হয়সো বিডে সিম্পল থাকবেন, যেমন,
ক্লাইন্ট কে গ্রিটিংস দিবেন এর পর আপনার সেন্টেন্স দিয়ে বুঝাবেন যে আপনি পুরো পোস্ট টা পরেছেন, এর পর তাকে বলবেন এই কাজটা আপনি পারবেন তার প্রমান স্বরূপ বলবেন আগে এই কাজ এর মত কিছু কাজ করেছেন আর প্রররটফোলিও দিবেনএর পর তাকে বলবেন কাজ এর টাইম এর মদ্ধেই কাজ ডেলিভারি দিবেন এছাড়া তাকে বলবেন কাজ চলাকালীন সময় তার সাথে কমিউনিকেইশন রাখবেন বা স্টেপ বাই স্টেপ আপডেট দিবেন

এই কয়েকটা জিনিস মেনে চললে দেখেন ৫ টা বিড করলে ১ টা কাজ পাবেনই কোন মিস নাই