Tuesday, January 31, 2017

ব্ল্যাক ফ্রাইডে বা ক্রিসমাস অফারের মুল কারন

ব্ল্যাক ফ্রাইডে বা ক্রিসমাস অফারের মুল কারন হলঃ

- তখন মানুষের হাতে টাকা বা বোনাস থাকে
- মানুষ খরচ করার মুডে থাকে (উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরাও)
- মানুষ আপনজনদের জন্য কেনার মুডে থাকে

আর আমাদের দেশে, এটা কেবলি ঈদুল ফিতরের সময় হয়। তখন ঢাকার যেকোনো মধ্যবিত্ত খোকা/খুকীর হাতেও ২০০০ টাকার বেশি থাকে। এখন তো বিকাশেই ঈদি নেওয়া হয়। আমাদের দেশে এটাই একমাত্র টাইম যখন উপরের তিনটা শর্ত মিলে যায়।

তাই, জুম্মাতুল বিদার বা রমজানের শেষ শুক্রবারের মতো একটা পবিত্র দিনকে আমরা ব্ল্যাক ফ্রাইডের মতো পালন করতে পারি। আবার সরকার পহেলা বৈশাখে বোনাস দেবার কথা বলছে। তখনও একটা ডিস্কাউন্ট দেওয়া যেতে পারে। মুল কারন হল, মানুষের খরচের আগ্রহকে ঠিক সময়ে বাড়িয়ে তোলা।

কিন্তু, বাংলাদেশে যারা ব্ল্যাক ফ্রাইডে করছে, আমার মনে হয় না তাদের মাথায় এই ঘিলুটুকু আছে। অন্য দেশে কাজ করে, কারন অদের কালচার ওরকম। কিন্তু, আমাদের দেশে এটা কাজ করবে না। যেটুকু করছে, সেটা সবসময় করবে ব্যপকহারে দাম কমালে। কিন্তু আপামর জনগনের অনশগ্রহন দেখার সুযোগ ওদের হবে না।

২৫ নভেম্বর ২০১৬ এবার ব্ল্যাক ফ্রাইডে হচ্ছে। খেয়াল করেন, মাস শেষ হতে আর প্রায় এক সপ্তাহের মতো বাকি। কয়জনের পকেটে টাকা আছে কেনার মতো? আর এখন কিসের উৎসব যে গিফট করবে? মাসের শেষে কেউ গিফট করার মুডে থাকে না। তাই, যেসব মার্কেটাররা ব্ল্যাক ফ্রাইডে পালন করছে, তারা আমাদের সংস্কৃতিকে হেয় করা ছাড়া কিছুই করছে না। শুধুমাত্র "র" কে "ড়" বলা কিছু লোকদের খুশি করার জন্য এই হাস্যকর আয়োজন। যাদের মাসের শেষ, কোন আর্থিক কষ্টের ব্যাপার নয়।

ব্ল্যাক ফ্রাইডে পালন করা একটা নামি ই-কমার্স সাইটের একজনের সাথে বিতর্ক হচ্ছিলো এই মাথা মোটা বুদ্ধি নিয়ে। কিন্তু, ও জানালো যে, রমজান মাস হওয়ায়, তখন সেলসে লোক পাওয়া যায় না। কিন্তু, আমার কাছে এটা কোন গ্রহনযোগ্য উত্তর মনে হয় নাই। কারন ঈদের আগে, অনেকেই এক্সট্রা ইনকামের জন্য এক্সট্রা কাজ করতে ইচ্ছুক আছে।

* Asif Anwar Pathik

Sunday, January 29, 2017

ইন্ডিয়ার টেক স্টারটাপ গুলা এখন বেশির ভাগই পপুলার এপ গুলার কপি।

ইন্ডিয়ার টেক স্টারটাপ গুলা এখন বেশির ভাগই পপুলার এপ গুলার কপি।
সেদিন একটা কোম্পানি দেখলাম Intercom এর পুরা লাইনআপ মেরে দিছে, ওদের ওয়েবসাইট এর ডিজাইন সহ। ফ্লিপকার্ট ওই কোম্পানিকে কিনে নিয়েছে।

গতকাল একটা সাইট দেখলাম পুরাই Hotjar এর কপি এবং বেশ ভাল করছে।
আমার পরিচিত একজন (বিদেশি) Canva কে কপি করে নতুন সার্ভিস বাজারে নিয়ে আসছে এবং ৭ দিনে $80000 সেল করেছে।
একটা আইডিয়া বাজারে আছে মানে এই না আপনি আনতে পারবেন না।
আসল ব্যাপার হচ্ছে, আপনার এক্সিকিউশন।

* Intercom copy = http://www.nudgespot.com/
* Canva's competitor = https://www.designbold.com/
* Big guys say to do this and there is a company who just go with copy pasting and make billions of dollar: 
http://thehustle.co/rocket-internet-oliver-samwer
* Get lots of new ideas from this website:
 https://www.crunchbase.com/#/home/index

# Parvez Akther

Wednesday, January 18, 2017

রুল অব সেভেন ( ডিজিটাল মার্কেটিং )

একটা কোম্পানীর এডের সাথে ক্রেতার কমপক্ষে ৭ বার সাক্ষাত হতে হয় কেনার আগে । এই ৭ বার সাক্ষাত অনেক স্ট্রাটেজিক্যালি করতে হয়। পারলে নন কমার্শিয়াল এনকাউন্টার। শুরুতেই সেল করতে চাওয়া মানে রাস্তা পারা পারের সময় হঠাৎ কাউকে ডেটিং কিংবা বিয়ের প্রস্তাব দেয়া। এভাবে কেউ রাজী হয় ?


ডিজিটাল মার্কেটিং কিন্তু এই সমস্যার সমাধান করেছে। অধিকাংশ নন ব্রান্ড কোম্পানী সরাসরি কারো কাছেই বিক্রি করার চেস্টা করে না। তারা একটা মার্কেটিং ফানেল সাজিয়ে নিয়েছে।
আর এই যে সমস্যা সরাসরি সেল করা যাবে না, তার জন্য নানা রকমের সমাধান ভিত্তিক সার্ভিস ও বিজনেস তৈরি হয়েছে।

যেখানেই সমস্যা, সেখানে সমাধানেরও প্রয়োজন। এক একটা সমস্যা মানে একেকটা বিজনেস। এই রুল অব সেভেন কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা বিজনেসঃ
১) ব্লগিং - কনটেণ্ট রাইটার , ব্লগিং টুলস
২) ইমেল মার্কেটিং সার্ভিস (aweber)
৩) এড নেটওয়ার্ক/ সোশ্যাল/সার্চ এড
৪) রিমার্কেটিং (adroll.com)

কেন লিখলামঃ
১) বাংলাদেশের অধিকাংশ কোম্পানী ডিরেক্ট সেল করে। ডিজিটাল মার্কেটিং ফানেল সম্পর্কে কোন স্ট্রাটেজি নাই। তাই কস্ট পার সেল অনেক হাই। কমাতে পারতো অনেক
২) যেই ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানী খুলে সে আসলে এড ম্যানেজমেণ্ট কোম্পানী খুলে। আরো যে সার্ভিস গুলো প্রয়োজন সেই দিকে তাকায় না
৩) সকালের স্টাটাসের পয়েন্টটাকে রিএনহেন্স করা। সমস্যার সমাধানের চেস্টার মাধ্যমেই বিজনেস আইডিয়া খুজা।
৪) রুল অব সেভেন সম্পর্কে একটু জানিয়ে দেয়া।

* Abul Kashem