Tuesday, March 31, 2015

****শর্টকাট ভাইরাস মুছে ফেলুন***

কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা ‘শর্টকাট’ ভাইরাসের সঙ্গে পরিচিত। এটি সব ড্রাইভের ফোল্ডারে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং যেকোনো ফোল্ডারে ক্লিক করলে নতুন করে সেই ফোল্ডারের শর্টকাট তৈরি করে। দ্রুত ব্যবস্থা নিলে এটি মুছে ফেলা যায়।

shortcuts.exe নামের ভিজ্যুয়াল বেসিক স্ক্রিপ্ট পেনড্রাইভ বা মেমোরি কার্ড থেকে কম্পিউটারে ছড়িয়ে গেলে এমন সমস্যা হয়। এ জন্য পেনড্রাইভের অটোরান আগে বন্ধ করে নিতে হবে। এরপর http://bitly.com/1MMPpjg ওয়েব ঠিকানায় গিয়ে শর্টকাট ভাইরাস রিমুভার টুল (আকার ৫ কিলোবাইট) নামিয়ে (ডাউনলোড) নিন। নামানো ফাইলকে আনজিপ করলে fixfolder.vbs ও Trojorm Removal Tool v1.5.bat নামের দুটো আলাদা ফাইল পাওয়া যাবে। কম্পিউটারে যদি কোনো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার থাকে, সেটিকে এবার সাময়িকভাবে নিষ্ক্রিয় (ডিসেবল) করে রাখুন। এখন Trojorm Removal tool নামের ফাইলকে কপি করে যে পেনড্রাইভ বা ড্রাইভে শর্টকাট ভাইরাস আছে, সেখানে পেস্ট করে ফাইলটিতে দুই ক্লিক করে চালু করুন। চালু হলে যেকোনো কি চাপুন। স্ক্যান শেষ হলে এন্টার করে বের হয়ে আসুন।
এরপর fixfolder.vbs নামের ফাইল কপি করে নিন। আগের মতোই আক্রান্ত পেনড্রাইভ বা ড্রাইভে পেস্ট করুন। এবার fixfolder.vbs ফাইলটিতে রাইট ক্লিক করে Open With থেকে Notepad নির্বাচন করে খুলুন। এখানে cDrive = “H:” লেখা লাইনে আপনার পেনড্রাইভ বা হার্ডডিস্কের ড্রাইভ লেটার লিখুন। অর্থাৎ, আপনার পেনড্রাইভের ড্রাইভ লেটার যদি M হয়, তাহলে cDrive = “M:” লিখুন। File থেকে Save-এ ক্লিক করে fixfolder.vbs ফাইল সেভ করে নিন। কাজ শেষে আবার fixfolder.vbs ফাইলটিতে ডান ক্লিক করে Open With থেকে Microsoft Windows Based Script Host নির্বাচন করে খুলুন।
একটু খেয়াল করে কাজটি করলে এবং এই ফাইলটি সফলভাবে রান হলে পেনড্রাইভ কিংবা হার্ডডিস্ক থেকে শর্টকাট ভাইরাস একেবারে মুছে যাবে। পরবর্তী সময়ে আর কোনো শর্টকাট ভাইরাস যাতে কম্পিউটারে হুটহাট আক্রমণ করতে না পারে, সে জন্য www.smadav.net ঠিকানা থেকে সফটওয়্যারটি (১.১৭ মেগাবাইট) নামিয়ে ইনস্টল করে ব্যবহার করতে পারেন।
এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে মুছে ফেলুন জ্বালাময় শর্টকাট ভাইরাস 


*Info Link: http://adf.ly/1CYb9A

Wednesday, March 18, 2015

~ সঠিক নিয়মে লেখাপড়া -- ক্লাসনোট লেখার গুরুত্ব ~

কোনো কিছু ভালো করে বুঝতে চান, কিন্তু নিজে নিজে পড়ে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে? কিন্তু ক্লাসে যা পড়েন তার সবটাই মাথা থেকে হয়ে যায় গায়েব? উপায় কী?
.
উপায় আছে, আর তা হলো একটু কষ্ট করে ক্লাসনোট তোলা। ক্লাসেই। ফটোকপির দোকানে না।
.
আমি যখন ছাত্র ছিলাম, তখন আমার এক বন্ধুর দায়িত্ব ছিলো ক্লাসে সবার জন্য ক্লাসনোট তোলা। নানা কালির কলম দিয়ে, সচিত্র, স-ধারাভাষ্য ("স্যার এটা বলার সময়ে ডান হাত নাড়লেন, কান চুলকালেন" ইত্যাদি), এবং মুক্তার মতো হাতের লেখায় হতো সেই ক্লাসনোট। বাকি সবার দায়িত্ব ছিলো সেমিস্টারের শেষে সেটা ফটোকপি করে নেয়া।
.
কিন্তু পরে বুঝলাম, এটা বড় একটা ভুল ছিলো।
.
কেনো?
.
আপনার হাতের লেখা হয়তো মুক্তার মতো না। কাকের বাম ঠ্যাঙ এর মতো।
.
আপনার হয়তো কেবল কালো রঙের বলপেনটাই সম্বল।
.
ক্লাস নোট তুললে সেটা আপনি ছাড়া আর কারো পক্ষে পড়া সম্ভব না।
.
কিন্তু তাতে কী?
.
ক্লাসনোট কী তুলছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। আপনার মুক্তোহস্ত বন্ধুর হাতের ক্লাসনোট অবশ্যই আপনার কাকস্য-ঠ্যাঙস্য আঁকিবুকির চাইতে দৃষ্টিনন্দন ও পাঠযোগ্য হবে।
.
কিন্তু আপনি ক্লাসনোট তোলার সময়ে যে কাজটা করছেন, সেটাই এখানে দরকারী।
.
সেটা কী? সেটা হলো ক্লাসের লেকচার শোনার সাথে সাথে সেটাকে মাথার মধ্য দিয়ে শোনা-বোঝার অংশ থেকে লেখার অংশ দিয়ে প্রবাহিত করে হাত দিয়ে লেখা। এই যে তথ্যের প্রবাহ, তাতেই বিষয়টা আপনার অনেক সহজে বোঝা হয়ে যাবে। খুব বাজে হলেও যে নোট তুলবেন, সেটা হয়তো আপনি ছাড়া আর কেউ পড়তে পারবে না, কিন্তু সমস্যা নাই, ক্লাস নোট তুলতে গিয়ে আপনি সেটা নিজের অজান্তেই আত্মস্থ করবেন। সেমিস্টার শেষে নাহয় বন্ধুর সুন্দর লেখাটাই ফটোকপি করলেন, কিন্তু সেই যে আপনার দুর্বোধ্য ক্লাসনোট -- সেটা তোলাটাই আপনার পড়াশোনায় কাজে দিবে অনেক অনেক বেশি।
.
তাই কষ্ট হলেও ক্লাসনোট তুলে নিন। শোনা, আর লেখার এই চক্রের গুরুত্ব সঠিক নিয়মে পড়াশোনায় অনেক বেশি।
.
(আর এই পরামর্শটিকে "সূর্য পূর্বদিকে উঠে" এর মতো সর্বগ্রাহ্য সত্য মনে হলেও কথাটা লিখছি, সবাইকে আরো একবার মনে করিয়ে দিতে, কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিশেষত এই ডিজিটাল যুগে ক্লাসনোট তুলতে আলসেমি করে, অথবা ডিজিটাল মাধ্যমে রেকর্ড করে নিতে চায়, যা কখনোই হাতে লেখা ক্লাসনোটের বিকল্প হতে পারে না। )
‪#‎সঠিক নিয়মে লেখাপড়া‬

*Written by- Ragib Hasan

Wednesday, March 4, 2015

৫০০-৬০০ ঘন্টা কোডিং করার উপায় কী? কিভাবে নিজের ব্রেন কাজে লাগাবো?

Question:
আমার কাছে পিডিএফ,ভিডিও টিউটোরিয়াল এবং হার্ড কপি (Subben Vai,Herbert Sheildt,Schum's series) আছে.
C প্রোগ্রামিং এর Basic সব সিনটেক্স জানি এবং মোটামোটি বুজি.
এখন আমি কিভাবে C ভালো করে শিখব?? কিভাবে ৫০০-৬০০ ঘন্টা কোডিং করব?? বই এর প্রবলেম গুলা বার বার করব ??
মোস্ট ইম্পর্টান্ট কথা হলো,যেইসব প্রবলেম বই এর পিছনে দেয়া আছে,ঐগুলা নাহ পারলে সল্যুশন দেখব ???
আমি রাস্তাটা জানতে চাই যে কিভাবে কি করলে নিজের ব্রেন কাজে লাগাতে পারব + Online Judge প্রবলেম সলভ করতে পারব??

Answers:
আমার বই (কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ১ম খণ্ড) ঠিকমতো পড়লে (মানে আমি বইতে যা যা নিজে করতে বলেছি, সেগুলো মেনে চললে) ৫০ ঘণ্টার কোডিং অভিজ্ঞতা হয়ে যাওয়া উচিত। তারপর ভিডিও লেকচারগুলো দেখলে সেখানে যেসব প্রোগ্রাম দেখানো হয়েছে (সেগুলা আবার নিজে করতে হবে) এবং করতে বলা হয়েছে, এসব করলে আরও ৫০ ঘণ্টার কোডিং অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে। তারপর আমার ওয়েবসাইটে যেসব সমস্যা দেওয়া আছে, ওগুলা সমাধান করলে আরো ১০০ ঘণ্টার কোডিং অভিজ্ঞতা হবে। তাহলে ২০০ ঘণ্টা হয়ে গেল।
এখন সি এর আরেকটি বই পড়তে হবে, হার্বার্ট শিল্ড বা শমস্ সিরিজ। সেখানে বই পড়ার সাথে সাথে সবগুলো এক্সারসাইজ নিজে করতে হবে। একান্তই না পারলে সমাধান দেখা যেতে পারে। এই কাজ করতে গেলে যতটুকু কোডিং করতে হবে, সেটাকে আমি আরো ৫০ ঘণ্টা কোডিং অভিজ্ঞতা ধরব (আসলে আরো বেশি সময় লাগবে)।
তারপর লাইজ ওজে-তে বিগিনার লেভেলের প্রবলেম সলভ করার পিছনে সময় দিতে হবে। ৩০টা প্রবলেম সলভ করলে যেই শ্রম ও সময় ব্যায় হবে, সেটাকে আরো ১০০ ঘণ্টার অভিজ্ঞতা ধরা যায়। মোট হল ৩৫০ ঘণ্টা।
এরপর পড়তে হবে ডিসক্রিট ম্যাথ আর ডাটা স্ট্রাকচার। ডাটা স্ট্রাকচার পড়ার সময় বইতে যা দেখানো হয়েছে, সেগুলো কোড করতে হবে (এমনকী বইতে কোড করা থাকলেও) আর অনুশীলনী করতে হবে। তাহলে বাকী ১৫০ ঘণ্টার কোডিং অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে। মোট ৫০০ ঘণ্টা হয়ে গেল!
এরপর আরো ৫০টা প্রবলেম সলভ করে ফেলো, যেগুলো খুব সহজ নয় এবং যেখানে তোমার ডিসক্রিট ম্যাথ ও ডাটা স্ট্রাকচারের জ্ঞান কাজে লাগবে। এই ৫০টা প্রবলেভ সলভের জন্য আমি আরো ১৫০ ঘণ্টার ক্রেডিট দিব তোমাকে। মোট ৭৫০ ঘণ্টা!
এই ৭৫০ ঘণ্টার জন্য তোমার কমপক্ষে এক বছর সময় দিতে হবে। এরপর আর পেছনে তাকাতে হবে না। প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ভালো লাগলে আরো প্রবলেম সলভ করতে থাক, আর ভালো না লাগলে অন্য কিছু কর (সবার প্রোগ্রামিং কনটেস্ট করতে হবে এমন কোনো কথা নাই)। যেমন জাভা শিখ, এপস বানাও। পাইথন শিখ, পাইগেমস্ ব্যবহার করে গেমস্ বানাও। সাথে সাথে অবজেক্ট ওরিয়েন্টেডের ধারণা মাথায় গেঁথে নাও। শুভকামনা রইল।

**Answered by: Tamim Shahriar Subeen

**Source: http://adf.ly/1AcziN