Thursday, September 26, 2013

ফ্রিল্যান্সার রা নিজের সাথে যে ৬ টি মিথ্যাচার করে


নি:সন্দেহ বলা যায়, ফিল্যান্সিং করা কোন সহজ কাজ নয়ক্লায়েন্ট খোঁজা, সময়মত কাজ সাবমিট করা, কাজ অনুপাতে স্কিল অর্জন, টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা সব মিলিয়ে রাস্তাটি একদম সহজ নয়বরং বেশ ঝামলোপূর্ণই বলা চলেএকটা বড় বাধা ফ্রিল্যান্সাররা নিজেরাই তৈরি করেএর উপত্তি নিজের সাথে নিজের মিথ্যাচার কিংবা যুক্তিবাদী মন নিজেকে মিথ্যা তথ্য বা ধারণা দেয়া থেকে বর্তমানে চলমান পরিস্থিতির সাথে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে ফ্রিল্যান্সারদেরকে এই সমস্যাটি থেকেও পরিত্রাণ পেতে হবেএর সমাধান নিজের কাছেইসমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা না বরং কোন ফ্রিল্যান্সার যদি নানা অজুহাত তৈরি করে, তবে তার জন্য সমাধানের রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়বিষয়গুলো ঠিক এইরকম যেন, একজন ফিল্যান্সার নিজের কাছ থেকে নিজেকে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করছে

আসুন বিষয়গুলোর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক :

১. মার্কেটপ্লেসের ভাল অবস্থান তৈরি জরুরী নয় : এই ধরনের আন্ত:মিথ্যাচার (নিজের সাথে মিথ্যা বলা) ভবিষ্যতে একজন ফিল্যান্সারের আয়ের ক্ষেত্র কমিয়ে দিবেএকজন ফ্রিল্যন্সারের সব সময় উচিত মার্কেটপ্লেসে ভাল অবস্থান তৈরি করাযদিও সে মার্কেটপ্রেস বা এর বাইরে থেকে প্রচুর কাজে ব্যস্ত থাকেতবুও বিষয়টি মাথায় রাখতে হবেকাজ সংশ্লিষ্ট কোন ক্লায়েন্ট যদি যোগাযোগ করে; ব্যস্ততার কারণে তার কাজটি করে না দিতে পারলেও, তার সাথে একটি উত্তম রিলেশন বজায় রাখতে হবে

২. মার্কেটপ্লেস থেকে উচ্চ বেতনে অনলাইন জবই উত্তম : অনেক ফ্রিল্যান্সার কিছুদিন মার্কেটপ্লেসে কাজ করার পর ফিক্সড সেলারির অনলাইন জবের দিকে ঢুকে পড়েএবং সে এটাকে নিরাপদ মনে করেকিন্তু সে ভাল করেই জানে এই কাজটি করতে গেলে তাকে মার্কেটপ্লেস থেকে ছিটকে পড়তে হবেতবুও সে নিজেকে বুঝায় যে, এই জবে বেশি টাকা পাওয়া যাবে বা আর্থিক নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে

৩. ক্লায়েটকে বার-বার প্রশ্ন করলে সে বিরক্ত হবে : সফল ফ্রিল্যান্সার মানেই ক্লায়েন্টের সাথে উত্তম যোগাযোগ অনেক ফিল্যান্সার মনে করে কাজ সম্পর্কে যদি ক্লায়েন্টকে বার বার প্রশ্ন করি তবে ক্লায়েন্ট বিরক্ত হবেতাই সে ক্লায়েন্টকে কাজ সম্পর্কে বার বার প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকেঅর্ধেক ধারণা নিয়েই সে কাজে নেমে যায়এতে কাজটি ক্লায়েন্টের চাহিদা মোতাবেক হবে না, এটাই অনিবার্য ! উল্লেখ্য যে, কাজ সম্পর্কে ক্লায়েন্ট বার বার প্রশ্নের উত্তর দিতে কোন দ্বিধা করবে না কারণ সে কাজটি তার চাহিদা মোতাবেক হওয়ার স্বার্থে অর্থ ও সময় খরচ করতে রাজি

৪. আমি তো বেশিরভাগ সময় তথ্যভিত্তিক ব্লগ পড়ে কাটাই : অনেক ফিল্যান্সার কাজের সিডিউল ঠিকমতো নিয়ন্ত্রন করতে পারে নাঅনলাইনে বিভিন্নভাবে সময় ব্যয় করেমনে মনে নিজেকে সান্তনা দেয় যে, আমি তো বেশিরভাগ সময় তথ্যভিত্তিক ব্লগ পড়ে কাটাইইনফরমেটিভ বিষয়গুলো নিয়েই সমসময় থাকিআদতে তার এই সময় কাটানোটা অনেক ক্ষেত্রে অনর্থক ওয়েবসার্ফিং পর্যায়ের

৫. আমি দক্ষ তাই আপডেটেড হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই : আপনি যতই দক্ষ আর শিক্ষিত হোন না কেন, সময়ে সাথে আপডেট না থাকলে আপনি পিছিয়ে যাবেফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম নয়আপনি যদি আপনার কাজ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের নিয়মিত আপডেটগুলোর সাথে পরিচিত না থাকেন, তবে খুব শীঘ্রই আপনি মার্কেটপ্লেস হারাবেনপ্রায়ই দক্ষ ফিল্যান্সারদেরকে তাদের মন এই অহমবোধে আচ্ছন্ন করে

৬. অন্যের সাফল্যের রাস্তা আমারও কাজে দিবে : এই ব্যাপারটি বেশ ঘটে উঠতি ফিল্যান্সারদের ক্ষেত্রেতারা অন্যদের সাফল্যের গল্প শুনে অনুপ্রাণিত হওয়ার পাশাপাশি হুবহু অনুসরণও করতে থাকে তারা মনে করে ঠিক এভাবে যেতে পারলে আমিও সফল হবোকিন্ত বাস্তবতা তা নয় প্রত্যেকটি ফিল্যান্সারকে তার যোগ্যতা, দক্ষতা, পরিস্থিতি, শারীরিক-মানসিক অবস্থা বুঝে নিজস্ব স্বীকয়তায় স্বতন্ত্র গতিপথে চলতে হবেঅনেক সময় নিজের সেই যোগ্যতা নেই, এটা জানা সত্ত্বেও হুবহু অনুসরণ করেযা অচিরেই ব্যর্থতায় রূপ নেয়

ফিল্যান্সারা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করেতাই এ ধরনের সমস্যা বা নিজস্ব ধারণা থেকে তৈরি ভ্রান্তিগুলো দূর করাও তাদের জন্য খুব একটা কঠিন কাজ নয়দরকার শুধু সচেতনতা বাড়ানোর

স্কোপ অফ ফ্রীল্যান্সিং


অনেকেই আমাকে ম্যাসেজে লিখেন ভাই আমি ফ্রীল্যান্সিং বা আউট সোর্সিং করতে চাই,

আমি বলি আপনার কি কি স্কিল আছে? তারা বলে ভাই আমার কোন স্কিল নাইআমি বলি আগে স্কিলড হোন এর পর এই মার্কেটে আসুন তার আগে নাঅবাক করা বিষয় হলো, তারা আমাকে ফের কোয়েশ্চেন করে ভাই আসলে কি কি বিষয়ে স্কিল অর্জন করা যায় আমাকে বলুনমানে তারা জানেই না আসলে কোন বিষয়ে স্কিল্ড হতে হবে মানে তাদের ধারনাই নাই যে কি কি বিষয়ে ফ্রীল্যান্সিং করা যায়যাক এইটা তাদের দোশ না তারা হয়তো বর্তমানের উদয়ীমান এই শিল্পর জয় জয়কার দেখে এই পেশায় আস্তে চাচ্ছে বাট তেমন কোন নলেজ নাই আসলে এইটা কি? অনেকটা আমি যখন ফার্মাসি পড়তে শুরু করেছিলাম তখন জানতাম না আসলে ফার্মাসি সাব্জেক্ট টা পড়ে কি হবেস্টেট ইউনিভার্সিটির সাইফুল ইসলাম পাঠান স্যার ইন্টুডাক্টশন অফ ফার্মাসি বিষয় টা নিতেন তিনি একজন বস মানুশসে সেকেন্ট ক্লাসেই ক্লাস নিয়েছিলেন স্কোপ অফ ফার্মাসিসেখান থেকে জানতে পেরেছিলাম আসলে ফার্মাসি পড়ে আমারা কি হব কোথায় আমাদের জবতার সেই ক্লাস টা অনেক ভালো লেগেছিলোএর পর আমি বুঝতে পারি যে সব সাব্জেক্ট এই স্কোপ অফ সেই সাব্জেক্ট এর একটা ক্লাস থাকা দরকার যায় হোক আজকে ফ্রীল্যান্সিং এর স্কোপ নিয়ে আলোচনা করবো

আসলে আপনি ফ্রীল্যান্সিং এর কোন সেক্টরে কাজ করলে আপনি বেশি টাকা ইঙ্কাম করতে পারবেন সেটার থেকে ইম্পোটেন্ট হল আপনি কোন বিষয় এ কাজ করে মজা পানকোন বিষয় কাজ আপনার ভালো লাগেকোন বিশয়ের কাজ আপনি উপভোগ করেনআমি আগের পোস্ট এ লিখেছিলাম যে আমি স্কাইপে এক আমেরিকান কে ক্যাল্কুলাস শিখিয়ে ৫০০ডালার করে ইঙ্কাম করেছিলামমানে ফ্রীল্যাসিং টিউশনিআপনি এমন অনেক বিষয় পাবেন যেখানে ক্লাইন্ট এর সাথে জাস্ট চ্যাট করবেনভয়েস বা টেস্ক চ্যাটআমেরিকা , ইউরোপে অনেকেই আছে একা মানুশ আর সেখানে কেউ তাকে টাইম দিয়ে তার সাথে সুখ দুঃখের কথা বলবে সেইরকম মানুশ নাইকারন টাইম ইম্পোটেন্ট তাই তারা টাকা দিয়ে কারো সাথে চ্যাট করতে চায়এইরকম কাজো দেখেছি অনেকএইতো গত ৩ সপ্তাহ আগে দেখলাম একজন এইরকম কাজ পোস্ট অরেছেএক ফিলিপাইনের মেয়ে বিড করে কাজ টা জিতে নিল আরযাক এই টাইপের কাজ খুব কম থাকেসচারচর যেই টাইপের কাজ থাকে সেগুলা আমি দিয়ে দিচ্ছিআপনাদের যেটা ভালো লাগে সেই দিকে মনযোগ দিতে পারেনআর সেই দিকে স্কিল্ড হতে পারেন

আমার এই লেখাটা আপনার যদি ভালো না লাগে তাহলে আপনি নিজেই পরখ করে নিতে পারেন আপনার পেশা টাবিভিন্ন ফ্রীল্যান্সিং সাইট যেমন ওডেস্ক, ফ্রীল্যান্সার , ইল্যান্স, গুরু, পিপল পার আওয়ার সাইট গুলাতে কাজের ক্যাটাগোরি গুলা দেখতে পারেন আর সেখানে যে কোন জব পোস্ট দেখতে পারেনক্লাইন্ট কি চাচ্ছে আর যারা বিড করতেছে তাদের প্রফাইল একটু দেখে নিতে পারেন তারা কি কি বিষয়ে স্কিল্ডএই ভাবেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন আপনি আসলে কি কি কাজ পছন্দ করেনআর কি কি কাজ আপনার জন্য ফিটএর পরেও আমি নিজে কিছু ক্যাটাগোরি দিয়ে দিচ্ছি,

আপনি ফ্রীল্যান্সিং এ নিজেই কিছু করতে পারেন বা ক্লাইন্ট এর কাজ করতে পারেনযেমন,
অ্যাড সেন্স , অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, অথবা নিজের কোন প্রডাক্ট যেমন টেমপ্লেট বানিয়ে বিক্রি এইগুলো করতে পারেনএইটাতে আপনার কোন ডেড লাইন থাকে না বা আপনাকে বিড করতে হবে না আপনি স্বাধীন ব্যাবসায়ীর মত কাজ করে মাসে অনেক টাকা ইঙ্কাম করতে পারেনআমি এক ছেলেকে চিনি যে কুত্তার খাবার বিক্রির এক সাইটের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটীং করে মাসে প্রায় ৫ হাজার ডলার ইঙ্কাম করতেছেঅথাচ সে ইতিহাসের স্টুডেন্ট তাও আবার ন্যাশন্যাল ভার্সিটিরমানে সে পাশ করে বের হলে তার ৮ হাজার টাকার একটা জবে অ্যাপ্লাই করলে তার সিভিই অনেক সময় কেউ দেখবে নাবাট সে এখুনি ৫ হাজার ডলার মানে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ইঙ্কাম করতেছেএছাড়া আপনি যদি বিড করে সরা সরি ক্লাইন্টের কাজ করতে চান তাহলে তো ফ্রীল্যান্সিন সাইট গুলো তো আছেইএবার চলুন দেখে আসি কি কি বিষয়ে আপনি কাজ করতে পারেন

ওয়েব ডিজাইন , আইটি এবং সফটওয়্যার ঃ ফ্রীল্যান্সিং এ এইটাই সব চাইতে বড় ক্যাটাগরিএইখানে আপনি ওয়েব ডিজাইন রিলেটেড সব কাজ পাবেনএছাড়া আইটি বা সফটওয়্যার ডেভ্লপমেন্ট এর সব কিছু পাবেনআর ডিজাইন এর জন্য ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, শিখে নিতে পারেনএছাড়া HTML+CSS=JS শিখে নিতে পারেন ইউ আই ডিজাইন এর জন্যএছাড়া প্রগ্রামিং এর জন্য বরতমানে সবচাইতে জনপ্রিয়ো হল PHP+MySQL এইটা ভালো মত শিখে নিতে পারেন তবে জেন্ড পরিক্ষা দিয়ে দিলে তো কথায় নাইএছাড়া অনেকে আমাকে বলে ভাই ওয়ার্ডপ্রেশ এর অনেক কাজ শুনেছি এইটা শিখতে হলে কি করতে হবেআসলে ওয়ার্ডপ্রেস হল html+css+js+php+mysql এর সমন্বয়ে একটা সি এম এসসো এইটার থিম বা প্লাগিন ডেভ্লপমেন্ট করতে হলে আপনাকে এই সব গুলাই মোটামোটি জানতে হবেএছাড়া আপনি ASP.NET, MSSQL শিখতে পারেনএছাড়া অ্যান্ড্রোয়েড ডেভলপমেন্ট এর জন্য শিখতে পারেন জাভা ও অ্যান্ড্রোয়েড আর আই ফোন ডেভলপমেন্টের জন্য শিখতে পারেন অব্জেক্টটিভ সিএছাড়া ইউন্ডোজ ফোন বা ইউন্ডোজ প্লটফরম এর ডেভলপ মেন্ট এর জন্য শিখতে পারেন সি সার্প

মোবাইল অ্যাপঃ এক্টূ আগে লিখেছি মোবাইল অ্যাপ গুলোর জন্য কি কি শিখতে পারেনআসলে এখন মোবাইল মার্কেটে অ্যান্ড্রোয়েড এর রাজত্ত বেশ এছাড়া আইফোন , ইউন্ডোজ ফোন, ব্ল্যাকবেরি ফোন এর অ্যাপ ডেভ্লপ মেন্ট করতে পারেন

রাইটিংঃ আমি মনে করি আপনার লেখা লেখির ঝোক একটু বেশি থাকলে এইটা বেছে নিতে পারেনপ্রচুর টাকা ইঙ্কাম করতে পারবেনআমি দেখেছি ১০০ ওয়ার্ড এর একটা আর্টিকেল দেড় ডলারে বিক্রি করা হয়আর আমি জামান ভাই নামের এক এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বি বি এ পড়া এক ভাই কে চিনি যে ডেইলি ৫০ টা আর্টিকেল লিখতো আর তার মাথায় অটোমেটিক লেখা চলে আস্তোআপনি রাইটিং একবার শুরু করলে এক মাস পরে দেখবেন যে লেখার মত কিছুই নাইপ্রথম মাস একটু কস্ট হয়ে এর পরে অটোমেটিক কি বোর্ড চলেযায় হোক এই লাইনে প্রচুর কাজ আছে

এর পর ডিজাইন, মিডিয়া , আক্রিটেকচারঃ আমার ক্লাইন্ট দের কাছে শুনি তারা নাকি ডিজাইন খুজে পায় নাডিজাইনার এর প্রচুর অভাবআসলেই তাইভালো ডিজাইনার এর প্রচুর অভাবমাঝে মাঝে মনে হয় আমাদের চারুকলা থেকে বের হয়ে অনেকেই টাকার অভাবে পড়ে তারা যদি ফ্রীল্যান্সিং করতো আমি সিউর তারা মাসে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা ইঙ্কাম করতে পারতোযায় হোক আপনার কালার সেন্স যদি ভালো থাকে তাহলে আপনি ডিজাইন এ চলে আসুনএছাড়া ভিডিও এডিটীং , আক্রিটেকচার ডিজাইন ইত্যাদিতে প্রচুর কাজ আছেমেইনলি লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, ফটো রিটাচিং, ওয়েব টেমপ্লেট ডিজাইন মাঝে মাঝে প্রডাক্ট ডিজাইন , ফ্লাইয়ার ডিজাইন, টিশার্ট ডিজাইন, প্যড ডিজাইন এর কাজ থাকেএকবার ফ্রীল্যান্সিং সাইট গুলাতে ঘুরে আসুন পেয়ে যাবেনআপনার কাংখিত কাজ

ডাটা এন্ট্রিঃ ডাটা এন্ট্রি তে মোটামোটি কাজ আছেআগে বাংলাদেশে ডাটা এন্ট্রি মানেই ক্যাপচা ফিলআপ বুঝাতো এখন এই কন্সেপ্ট চেঞ্জএখন ডাটা এন্টির অনেক প্রকার ভেদ আছে যেমন ইকমার্স সাইটে প্রডাক্ট এন্ট্রি ইত্যাদি

ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সায়েন্সঃ এই ক্যাটাগরিতে তে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সায়েন্স এর বিভিন্ন কাজ থাকেযেমন হোম ডিজাইন, ডিজিটাল ডিজাইন, ডাটা মাইনিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংএইখানে কাজ মোটামোটি

প্রডাক্ট সোর্সিং আন্ড ম্যানুফ্যাকচারিংঃ এইখানে বিভিন্ন বায়ার তার প্রডাক্ট এর ম্যানুফ্যাকচারিং এর জন্য বিভিন্ন ম্যানুফ্যাকচারার খুজে অথাবা সাপ্লাইয়ার খুজেঅনেক আগে এক বায়ার আমাকে বাংলাদেশের বাশের তৈরি হস্ত শিল্পের প্রডাক্ট চেয়েছিলো বাট আমার পরিচিত ছিলোনা তাই দিতে পারি নাই

সেলস এন্ড মার্কেটীংঃ এই সেক্টর বিশালমেইনলি অনলাইন শোপ গুলার প্রডাক্ট সেলস এন্ড মার্কেটিং করতে হয়এছাড়া এস ই ও, এস এম এম, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং , ইবেই মার্কেটীং এর জন্য লোক হায়ার করে

বিজনেস, অ্যাকাউন্টিং, হিউম্যান রিসোর্স এন্ড লিগালঃ এইটাও বিশাল এক ক্ষেত্র অনেকেই অ্যাকাউন্টিং এর হিসাব নিকাশ এর জন্য ফ্রীল্যান্সার খুজে এখানে প্রচুর কাজ আছে

ট্রান্সসিলেশন ও ল্যাংগুয়েজঃ আমি নিজেই প্রায় ৪ থেকে ৫ টা ভাষায় কথা বলতে পারিজার্মান, ইংরেজী, হিন্দি, বাংলা, অল্প রাশিয়ান আর এখন চাইনিজ এ ভর্তি হইছি স্পানিশ আর ফ্রঞ্চ শিখার ইচ্ছা আছে যায় হোক ট্রান্সসিলেশনে প্রচুর কাজশেশ করতে পারবেন নাযদি শখের বশত কোন ভাষা ভালো মত শিখে থাকেন তাহলে এই কাজ করতে পারবেনআমি এই কাজ করতে পারি না কারন আমি শুধু কথা পারি লিখতে গেলে কলম ভেঙ্গে যায়তাই করি না

অন্যান্যঃ আসলে অন্যান্য অনেক ক্যাটাগরি আছেযেমন ক্লাইণ্টের সাথে শুধু চ্যাট করবেন, ক্লাইণ্ট এর পড়ালেখায় হেল্প করবেন, থিসিস পেপার রেডি করে দিবেন, ল্যাব মেনুয়াল রেডি করে দিবেনক্লাস অ্যাাসাইমেন্ট রেডি করে দিবেন ইভেন রান্নার রেসিপি দিবেন

এই হল মোটা মোটি ফ্রীল্যান্সিং এর ক্যাটাগোরিসো আপনার কোনটা পছন্দ সেইটা ঠিক করে শুরু করে দিন পড়া লেখা আর স্কিল অর্জনএর পর নেমে পরুন ডলার ইঙ্কামে তাও আবার আপনার ঘরে বসে থেকে কোন হরতাল, ধরমঘাট, রাস্তা ভাংগা, রাস্তায় পানি জমে আছে , রিস্কা পাচ্ছেন না, বাস ভাড়া বাড়লো বা কমলো সেটাতে আপনার মাথা নস্ট হবে নাশুরু নস্ট হবে যখন ডলারের রেইট ৮৪ টাকা থেকে যখন ৭৭ টাকায় নেমে আসেআমার যা হয়েছেযখন ডলার ৮৪ টাকা করে ছিলো আমার বাড়ি ভাড়া যা ছিলো এখন ৭৭ টাকা করে আমার বাড়ি ভাড়া ২ হাজার টাকা বেশিএক দিক দিয়ে ডলারে টাকা কম পায় অন্য দিক দিয়ে বাড়ি ভাড়া বেশিযাক এক্টূ মজা করলাম

আপনাদের ফ্রীল্যান্সিং জীবন ভালো কাটুক এই কামনায়বিদায়আমার জন্য দোয়া করবেন